×

সারাদেশ

কৃষকের হাত ধরে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২২, ০৫:১৮ পিএম

কৃষকের হাত ধরে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের সালথায় দশ বছর ধরে স্বামী বিহীন থেকে প্রতিবেশী এক কৃষকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে তার হাত ধরেই উধাও হয়েছেন ওমান প্রবাসী স্বামী ইমরান মাতুব্বরের স্ত্রী সাহেদা বেগম (৩৫)।

এ ঘটনায় গত বুধবার (৫ অক্টোবর) মামা লিঠু মোল্যা সালথা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কুমারপট্টি গ্রামের সাহেদা স্বর্ণের জিনিস ও নগদ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়।

সাহেদা বেগম উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের নটখোলা গ্রামের মৃত আলম মোল্যার মেয়ে। তার স্বামী ইমরান মাতুব্বর ওই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মাতুব্বরের ছেলে এবং কৃষক প্রেমিক আলমও একই এলাকার বাসিন্দা ওসমান ব্যাপারীর ছেলে।

জানা গেছে, ১৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় সাহেদা বেগমের (৩৫)। তার পাঁচ বছরের মাথায় ওমানে পাড়ি জমান স্বামী ইমরান মাতুব্বর (৪০)। এখনো তিনি সেখানেই আছেন। ফলে ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের ১০ বছরই স্বামীবিহীন কেটেছে সাহেদা বেগমের। এ সময় তার কোল জুড়ে এসেছে দুই ছেলে।

এলাকাবাসী জানান, ঘটনার পর থেকে তার প্রেমিক আলমও বাড়িতে নেই। তাই সবাই ধরে নিয়েছে, তার সঙ্গে পালিয়ে গেছে সাহেদা। গত চার দিন আগে পরিবারের সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা পালিয়ে গেছেন। তবে, তাদের পরকীয়ার বিষয়টি জানাজানি হয় বেশ কিছুদিন আগে।

প্রবাসী ইমরানের মা নিহারুন বেগম জানান, ১৫ বছর আগে তার ছেলে ইমরানের সঙ্গে একইর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ইমরান-সাহেদার দুটি ছেলে আছে। বিয়ের ৫ বছর পর ইমরান বিদেশে (ওমান) চলে যান। গত ১০ বছর ধরে তিনি বিদেশে রয়েছেন। এর মধ্যে আড়াই বছর আগে একবার দেশে এসে মাসখানেক ছিলেন। তারপর আবারও চলে যান।

তিনি আরও বলেন, ছেলে বিদেশে থাকার সুবাধে তার স্ত্রী সাহেদা প্রতিবেশী আলম ব্যাপারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে যান। আলম অবিবাহিত ও কৃষি কাজ করেন। প্রায়ই আলম আমাদের বাড়িতে এসে আড্ডা দিতেন। আমরা বাধা দেওয়ার পরও কেউ তোয়াক্কা করেনি।

সাহেদার ছেলে সজিব বলেন, মা বাড়িতে থেকে যাওয়ার সময় আমার ছোট ভাই সুহানকে (৫) ১০ টাকা হাতে ধরিয়ে বলে, যাও বাড়িতে যাও। এরপর তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, মা প্রতিবেশী আলমের সঙ্গে চলে গেছেন।

এ বিষয় আলম ব্যাপারীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। আর তার বাড়িতে গিয়েও কোনো পুরুষ মানুষের দেখা মেলেনি। বাড়ির নারীরা জানান, এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। কিন্তু আলম কয়েকদিন ধরে বাড়িতে নেই। কোথায় আছে তাও জানেন না তারা।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) সালথা থানার এসআই আব্দুল বাছেদ বলেন, আলমের পরিবার তাকে ও ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে দিতে চেয়েছেন। তাদের উদ্ধারের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App