×

জাতীয়

রাজধানীতে দফায় দফায় লোডশেডিং

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২২, ০৯:১০ এএম

রাজধানীতে দফায় দফায় লোডশেডিং

প্রতীকী ছবি

ঘাটতি ৪০০ মেগাওয়াট

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে রাজধানীর বাসিন্দারা ভোগান্তিতে পড়েছেন। বাসাবাড়ি থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সব ক্ষেত্রেই লোডশেডিংয়ের বিরূপ প্রভাব পড়েছে। গত তিন দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিংয়ের প্রবণতা ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ দফায় দফায় লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছেন। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার লোডশেডিং হচ্ছে। কৃচ্ছতা সাধনের জন্য সরকার ঘোষিত এলাকাভিত্তিক ১ ঘণ্টার লোডশেডিং এখন আর মানা হচ্ছে না।

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানীতে ৪০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে লোডশেডিং বেড়েছে।

জানা গেছে, সরকারের ন্যাশনাল লোড ডেসপাচ সেন্টারের হিসেবে সারাদেশে গড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু ৪ দিন আগে জাতীয় গ্রিড ট্রিপ করার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে সরবরাহ প্রতিষ্ঠানগুলো সব এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না। তাই বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ দিতে না পারায় লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়েছে। শুক্রবারসহ ছুটির দিনগুলোতে সব ধরনের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বন্ধ থাকার পরও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।

ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান জানিয়েছেন, রাতে ও দিনে মিলিয়ে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতির কারণেই আমরা লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছি। প্রতিটি নির্দিষ্ট এলাকায় কমপক্ষে দুইবার আবার কোনো কোনো এলাকায় তিনবার পর্যন্ত লোডশেডিং দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ পেলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরা সম্ভব হবে। বিদ্যুৎ বিভাগ ঘোষিত এক ঘণ্টার লোডশেডিংয়ের যে সময়-সূচি এই মুহূর্তে মানা সম্ভব হচ্ছে না। রাজধানীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় লোডশেডিং আরো বেশি বলে জানা গেছে। সাভারে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে এলাকার বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিপুল সংখ্যক ছোট বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ব্যাপক জনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় বেশি সংখ্যক মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। শিল্পকারখানার উৎপাদন চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে।

এদিকে, গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনেও নগরবাসীকে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় নাকাল হতে হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে বাসবাড়িতে লোকজনকে হাঁপিয়ে উঠতে হয়েছে। গভীর রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে শিশুদের ঘুম ভেঙে যায়। রাতে ঠিকভাবে ঘুম না হওয়ায় দিনের বেলাতেও এর প্রভাব পড়ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের লোকজন সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় পড়েছেন। দীর্ঘ সময় লোডশেডিং হওয়ায় ক্রেতারা মার্কেটে ঢুকছেন না। এলিপ্যান্ট রোডের একটি পোষাকের দোকানের কর্মী প্রণব হালদার জানান, গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় লোডশেডিংয়ের কারণে বেচাকেনা বন্ধ থাকছে। ক্রেতা না থাকায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। দোকান ছেড়েও যাওয়া যায় না। অলসভাবে দোকানেই বসে থাকতে হয়। সন্ধ্যায় বেচাকেনার পিক আওয়ারে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় বেচাকেনা অনেক কমে গেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App