ভূমিসেবা প্রসঙ্গে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২২, ০১:২২ এএম
গ্রামীণ জনপদের মানুষগুলো সবচেয়ে ভোগান্তির শিকার হয়। হয় তা ভূমি অফিসের নয় তা ইউনিয়ন পরিষদে। তুলনামূলকভাবে ইউপির তুলনায় ভূমি অফিস মানুষের আনাগোনা অনেকাংশে কম। সেই দিক থেকে ভূমি অফিসের বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে মানুষের ধারণা অনেক কম। এই ঘাটতি অবশ্যই জনগণের অসচেতনতার কারণ। এটা সত্য যে বাংলাদেশের প্রতিটি সেবা সেক্টর বর্তমানে ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে। সরকার তার যথেষ্ট ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু জনগণ তার অধিকার বুঝে নিতে পারছে না। অর্থাৎ এই ব্যাপারে জনগণের দোষ সবচেয়ে বেশি। ইউপি ভূমি অফিসের কথাই ধরি। খাজনা-ট্যাক্স বা বিভিন্ন বিষয়ের জন্য ভূমি অফিসে নায়েবের কাছে যেতে হয়। তখন নায়েব মহাশয় খাজনার টাকা নিয়ে দর কষাকষি করে। আমি বলছি না যে বাংলাদেশের সব নায়েবের অবস্থা একই রকম। তবে অধিকাংশ নায়েবের ক্ষেত্রে দর-কষাকষি বৈশিষ্ট্যটা যে একেবারেই নেই তা মেনে নিতে হবে। আমায় একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি। গ্রামের মানুষজন ভালো করে জানেই না যে জমি খারিজ করতে কত টাকা লাগে। তবে অধিকাংশের ধারণা সাত হাজারের ওপর। হয় তা স্থানীয় নায়েব মহাশয় তাদের এভাবেই অভ্যস্ত করেছে। কিন্তু এসিল্যান্ড অফিসে বড় করে লেখা খাজনা করতে ১১৭০ টাকা লাগে। সেই সঙ্গে বিশেষ দ্রষ্টব্য হিসেবে লেখা রয়েছে যে অতিরিক্ত টাকা কেউ চাইলে অভিযোগ দিতে এবং বিষয়টি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এসিল্যান্ড অফিসে এভাবে লেখা ও জনগণকে জানানো সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
তবে গ্রামীণ জনপদে আরো বিস্তারিতভাবে জানানো দরকার। হতে পারে মাইকিং কিংবা উঠান বৈঠকের মাধ্যমে বা জুমার খুতবার আগে। এককথায় তথ্য একদম তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছানো। তখন দেখা যাবে জনগণ এই বিষয়ে অবগত হবে এবং যথেষ্ট সচেতন হবে। আর এভাবে সচেতনতার ফলেই খাজনা দিতে জনগণের হয়রানি কমবে।
শেখ সায়মন পারভেজ হিমেল
শিক্ষার্থী, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]