বাড়লো চিনির দাম, কমলো পাম তেল
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২২, ০৩:১৮ পিএম
ফাইল ছবি
চিনি ও পাম তেলের দর ফের পুনর্নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এখন থেকে পাম সুপার এক লিটার ১২৫ টাকা দরে বিক্রি হবে। আগে দাম নির্ধারিত ছিল ১৩৩ টাকা। অর্থাৎ কমেছে ৮ টাকা। পাম তেলের দাম কমানো হলেও খোলা ও প্যাকটজাত চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে।
নতুন নির্ধারিত দর অনুযায়ী, খোলা চিনি বিক্রি হবে প্রতি কেজি ৯০ টাকা, আগে ছিল ৮৪ টাকা। আর প্যাকেটজাত চিনি ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হবে। যা আগে ছিল ৮৯ টাকা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভায় চিনি ও পাম সুপারের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজারদর এটিই।এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর নিত্যপণ্যের মধ্যে ৯টির দাম নির্ধারণ করে দেয়ার যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে, তার মধ্যে প্রথম চিনি ও পাম তেলের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়।
ওই সময় পাম তেলের দাম নির্ধারণ হয় ১৩৩ টাকা লিটার দরে। এই তেলের দর ছিল ১৪৫ টাকা। অর্থাৎ কমানো হয় ১২ টাকা।
অন্যদিকে প্যাকেটজাত চিনির সর্বোচ্চ দর ঠিক করা হয় ৮৯ টাকা আর খোলা চিনি প্রতি কেজি ৮৪ টাকা।
এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে পাম তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা কমানোর সুযোগ আছে বলে সুপারিশ করে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন। চিনির দামও কমিয়ে আনার পরামর্শ দেয় এই প্রতিষ্ঠান।
ট্যারিফ কমিশন থেকে দেয়া সুপারিশে বলা হয়, বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দামে তেমন প্রভাব পড়েনি। কিন্তু কমেছে পাম তেলের দাম। তাই এই তেলের দাম স্থানীয় বাজারে কমানোর সুযোগ আছে। তবে সয়াবিন তেল যে দামে বিক্রি হচ্ছে তা যৌক্তিক। পাম তেলের দাম বর্তমানে ১৪৫ টাকা । এই তেলের দাম লিটারে অন্তত ১২ টাকা কমিয়ে ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
চিনি বিষয়ে ট্যারিফ কমিশন থেকে পাঠানো সুপারিশে বলা হয়, প্রতি কেজি খোলা চিনি ভোক্তাপর্যায়ে খুচরা মূল্য ৮৪ টাকা। আর প্যাকেটজাত চিনির কেজিপ্রতি দাম হওয়া উচিত ৮৮ টাকা।
গত ৩০ আগস্ট বৈঠকে সিদ্ধান্ত ছিল, বেঁধে দেয়া হবে ৯ পণ্যের দাম। ঘোষণা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বলেন, ভোজ্যতেল, চিনি, রড, সিমেন্ট, চাল, আটা, ময়দা, মসুর ডাল, ডিমের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দেয়া হবে।
সেই অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণও শুরু করে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন। তবে সামনে আসে নানা বিপত্তি।
৯ পণ্যের দাম নির্ধারণ করা থেকে সরে আসছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ভোজ্যতেল, চিনি, রড ও সিমেন্টের দাম নির্ধারণ করবে এই মন্ত্রণালয়। তথ্য-উপাত্ত না পাওয়ায় রড ও সিমেন্টের দাম নির্ধারণে আরও বেশ কয়েক দিন সময় লাগবে।