×

জাতীয়

লঞ্চ থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার: কোচিং শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৫৪ পিএম

লঞ্চ থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার: কোচিং শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

ফাইল ছবি

সদরঘাট টার্মিনালের পটুয়াখালীগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে পারুল আক্তার নামের এক তরুণীর গলাকাটা লাশ উদ্ধারের মামলায় আল-মামুন (২৭) নামের এক কোচিং শিক্ষককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২ অক্টোবর) ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এএইচএম হাবিবুর রহমান ভুইয়া এ রায় ঘোষণা করেন। হত্যার সময় ওই তরুণী গর্ভবতী ছিল। তরুণীর গর্ভের সন্তানও মারা যাওয়ায় রায়ে আদালত দণ্ডবিধির ৩১৬ ধারায় আসামিকে আরো ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল চন্দ্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা থেকে জানা যায়, কেরানীগঞ্জের জিনজিরা পীর মো. পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী পারুল আক্তার। বাড়ির পাশে ব্রাইট পাবলিক একাডেমিতে কোচিং করার সময় শিক্ষক আল-মামুনের সঙ্গে গোপনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । জড়িয়ে পড়ে শারীরিক সম্পর্কে এবং গর্ভধারণ করেন।

এরপর ২০১৬ সালের ২০ জুলাই কাউকে কিছু না বলে বরগুনার উদ্দেশে ঈগল-৩ লঞ্চের ৩০৮ নাম্বার কেবিনে উঠেন তারা। সেখানে মামুন নিহত পারুলকে অন্য একটি ছেলের সাথে তার সম্পর্ক আছে বলে জানতে চায়। তখন পারুল তা অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আল মামুনের সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে পারুল। এ সময় পারুলের গলা থেকে রক্ত গড়িয়ে কেবিনের বাহিরে আসলে লঞ্চের লোকজন এসে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

নিহত পারুলের বাবার নাম গেদা মিয়া। তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর ছোট মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। মামলাটির বিচারকালে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App