×

জাতীয়

২০২৪ সালে প্রথম ইউনিটের উৎপাদন শুরু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:১৯ এএম

২০২৪ সালে প্রথম ইউনিটের উৎপাদন শুরু

ছবি: ভোরের কাগজ

আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে একই বছরের জুলাই মাসে। ৫১ হাজার সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে পোর্ট ও প্ল্যান্টের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৮২ শতাংশ। এছাড়া প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি প্রায় ৬৫ শতাংশ।

গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী এমপির নেতৃত্বে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক আবুল কালাম এ তথ্য জানান।

এ সময় অন্যদের কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন মজুমদার এমপি, মঞ্জুর হোসেন এমপি, আবিদা আঞ্জুম মিতা এমপি, পরিকল্পনা কমিশনের সচিব, কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী জানতে চান এই প্রকল্পের কারণে পরিবেশ দূষণ হবে কিনা? তখন কর্তৃপক্ষ জানান, পরিবেশ দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে এই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। জাহাজ থেকে কয়লা নামানোর সময় ছাড়া কয়লা আর দেখা যাবে না। এটি নির্দিষ্ট জেটির মাধ্যমে সরাসরি প্ল্যান্টে চলে আসবে। একইভাবে বঙ্গোপসাগরে চলে যাবে। এতে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা তেমন নেই। তিনি জানতে চান লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে কিনা? এ সময় প্রকল্প পরিচালক বলেন, ইতোমধ্যে সাড়ে ৩ হাজার মানুষ প্রকল্পে কাজ করছেন। এর মধ্যে ১১৭৫ জন রয়েছেন বিদেশি। আর ৮০ শতাংশ লোক রয়েছেন টেকনিশিয়ান। এরা সবাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আর ২০ শতাংশ মানুষ ননটেকনিশিয়ান। এদের নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।

সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত সব প্রকল্প কাজ সম্পন্ন করতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে কোনো সমস্যা হবে না। ইতোমধ্যে যেসব মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে এতে যাতে স্থানীয়দের সমস্যার সৃষ্টি না হয় বিশেষ করে কয়লা বিদ্যুৎ এলাকায় জলাবদ্ধতা ও স্থানীয়দের যাতে সমস্যা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। স্থানীয়দের বিভিন্ন টেকনিক্যাল কাজে প্রশিক্ষণের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু স্লুইচ গেট নির্মাণ করে জলাবদ্ধতা নিরসন করা যায় না। পানি সরাতে আরো অনেক কাজ করতে হয়। এছাড়া এখনো এককালীন অনুদান ও শ্রমিকদের অনুদান পুরোপুরি দেয়া হয়নি। এই বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংসদীয় কমিটির সভাপতিকে অনুরোধ জানান তিনি।

বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের জন্য অতীব জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে যা পরিশোধ করা হয়নি তা দ্রুত পরিশোধ করলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। কারণ এই টাকাগুলো যারা পাচ্ছেন তারা এলাকার খুবই অসহায় মানুষ। জমি অধিগ্রহণ করার আগে এভাবে টাকা পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির ৭৫ শতাংশ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। অন্যান্য জমির ব্যাপারে মামলা থাকায় পরিশোধ করা হয়নি।

প্রকল্প পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় করছেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপিসহ নেতারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App