×

সারাদেশ

খুলনায় শারদীয় দুর্গোৎসবের জন্য প্রস্তুত ৯৬৯ মণ্ডপ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:৫৭ পিএম

খুলনায় শারদীয় দুর্গোৎসবের জন্য প্রস্তুত ৯৬৯ মণ্ডপ

ফাইল ছবি

খুলনায় ৯৬৯টি মন্দির আর মণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্ভীদের শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে। এই উৎসবকে জমিয়ে তুলতে মন্দিরের শোভা সৌন্দর্য্যের কাজও চলচ্ছে পুরোদমে। গত বছরের তুলনায় এবার বেশি মণ্ডপে সনাতন ধর্মবালন্বী হিন্দু সম্প্রাদয়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

মহানগরে ১৩০ ও ৯ উপজেলায় জেলায় ৮৩৯টি স্থানে এ দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল হালদার বলেন, জেলা ও উপজেলায় গত বছর ৯৫৬টি মন্ডবে দূর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে ছিলো। এ বছর ১৩টি বেড়েছে মোট ৯৬৯টি স্থানে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

এর মধ্যে, নগরীর পূজা মণ্ডপগুলোর মধ্যে রয়েছে খুলনা সদর থানা এলাকায় ২৮টি, সোনাডাঙ্গা ১১টি, খালিশপুর ১০টি, দৌলতপুর ১৯টি, খানজাহান আলী থানা এলাকায় ছয়টি, হরিণটানা পাঁচটি, লবণচরা নয়টি এবং আড়ংঘাটা থানা এলাকায় রয়েছে ৪২টি। এছাড়া নয়টি উপজেলার মধ্যে কয়রায় ৫৬টি, পাইকগাছায় ১৫৪টি, ডুমুরিয়ায় ১৬৫টি, ফুলতলায় ৬০টি, দাকোপ ৮৫টি, বটিয়াঘাটায় ১০০টি, রূপসায় ৭৬টি, তেরখাদায় ১০৯টি এবং দিঘলিয়ায় ৫০টি মণ্ডপে পালিত হবে শারদীয় এই ধর্মীয় উৎসব।

তিনি বলেন, তবে বাঁশ, সূতা, কাপড় ও রংসহ অন্যান্য উপকরণের দাম অনেক বেশি হয়ায় গেল বারের তুলনায় এবার প্রতিমা তৈরিতে খরচ বেড়েছে। যে কারণে ভাস্ককরদের মজুরীও বাড়িয়ে দিতে হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক সিটি কর্পোরেশনের সব মন্দিরের জন্য নয় হাজার টাকা করে দিয়েছে। এছাড়া, স্থানীয় এমপি শেখ সালাউদ্দীন জুয়েল ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৩৭টি মন্দিরে ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।

খুলনা জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার সরকার জানান, দূর্গাপুজা উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের পক্ষে থেকে খুলনা মহানগর ও নয়টি উপজেলার মণ্ডপগুলোতে ৪৮৫ দশমিক পাঁচ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপের জন্য ৫০০ কেজি দেয়া হয়েছে।

এদিকে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব মুখর পরিবেশে শারদীয় দূর্গোৎসব পালনে খুলনায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়নের ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার স্বর্থে তিনস্তরের নিরাপত্তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এ ব্যাপারে খুলনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান জানান, পুলিশের পক্ষে থেকে তাদের নিরাপত্তার কাজ করছে। তিনটি ভাগে ভাগ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিকল্পনা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথম ভাগ দূর্গাপূজার যখন প্রতিমা তৈরি করা হয় মূলত তখন থেকেই। দ্বিতীয় ভাগ পূজা শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকে অর্থাৎ ১ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত। তৃতীয় ভাগ বির্সজনের দিন কঠোরভাবে পুলিশ নিরাপত্তায় থাকবে। সকলের প্রচেষ্টায় এই উৎসব সফলভাবে শেষ করতে পারবেন বলেও জানান খুলনার পুলিশ সুপার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App