×

জাতীয়

৪০ সেকেন্ডে চুরি প্রাইভেটকার, বিক্রি অনলাইনে (ভিডিও)

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৪৩ পিএম

৪০ সেকেন্ডে চুরি প্রাইভেটকার, বিক্রি অনলাইনে (ভিডিও)

গাড়ি চোর চক্রের সদস্য পারভেজ, আবুল হোসেন গাজী, বাবু মিয়া ওরফে নাজমুল হাসান ও সুমন। ছবি: ভোরের কাগজ

যেসব জায়গায় বেশি সংখ্যক গাড়ি পার্কিং করা থাকে সেখানে অবস্থান নিতো চোর চক্রের সদস্যরা। এরপর নজরদারি শুরু হতো টার্গেটকৃত প্রাইভেটকারের চালক ও মালিকের উপর। পার্কিংয়ের পর মালিক ও চালক কাজে গেলে মাস্টার চাবি দিয়ে মাত্র ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে প্রাইভেটকার স্টার্ট দিয়ে চম্পট দেয়া হতো।

পরে সেটি চক্রের অন্য সদস্যদের মাধ্যমে চেসিস ও রং বদল করে দালালের মাধ্যমে বিক্রি করে দেয়া হতো। চোরাই প্রাইভেটকারের ছবি অনলাইনে পোস্ট করেও বিক্রি করে আসছিল চক্রটি।

প্রাইভেটকারের কাগজ সবসময় ভেতরেই থাকায় বিক্রি করতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হতো না। মাস্টার চাবি দিয়ে মুহূর্তের মধ্যে প্রাইভেটকার চুরির চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- পারভেজ, কামাল হোসেন গাজী, বাবু মিয়া ওরফে নাজমুল হাসান ও সুমন। এর আগে বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা থেকে মূলহোতা পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যানুযায়ী নরসিংদী থেকে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি চোরাই প্রাইভেটকার, পাঁচটি চোরাই কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও দুটি মাস্টার চাবি উদ্ধার করা হয়।

ডিবি বলছে, চক্রটি ১২টি প্রাইভেটকার এবং বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরির কথা স্বীকার করেছে। তাদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে ওই গাড়িগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এ বিষয়ে ডিবির গুলশান বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মোহাম্মদ খলিলুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, তেজগাঁও থানায় দায়ের হওয়া একটি গাড়ি চুরি মামলার তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চক্রের চারজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, ৫ বছর ধরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প অঞ্চল, ধানমন্ডি লেকপাড় রোড, উত্তরা, গাজীপুরের শ্রীপুর, মাওনা বাজারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাইভেটকার চুরি করত। এই চক্রের মূলহোতা পারভেজ। তার সহযোগী কামাল।

তারা দুজনই চুরি মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর সখ্যতা গড়ে ওঠে। পরে জামিনে বেড়িয়ে এসে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার চুরি শুরু করে। পরে সেগুলো নরসিংদী পলাশ থানা এলাকার নাজমুল হাসানের গ্যারেজে জমা করে সবকিছু পরিবর্তন করা হতো। আর বিক্রির দালালি করতেন সুমন।

এসি আরও বলেন, এই চোর চক্রের সদস্য সুমন চোরাই গাড়িগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পেইজ ও বিক্রয় ডট কমের মাধ্যমে বিক্রি করে আসছেন। ১৫-২০ লাখ টাকার গাড়ি তিন থেকে চার লাখ টাকার মধ্যে বিক্রি করতেন তারা। তবে মালিকানা পরিবর্তনের জন্য কোনো ক্রেতা তাদের চাপ দিতেন না বলে জানা গেছে। কারণ অল্প টাকায় এমন গাড়ি সমস্যা থাকতে পারে ভেবেই কিনতেন তারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App