×

সারাদেশ

প্রতিমায় তুলির আঁচড়ে ব্যস্ত সময় কাটছে কারিগরদের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:০৪ পিএম

প্রতিমায় তুলির আঁচড়ে ব্যস্ত সময় কাটছে কারিগরদের

চারঘাটে প্রতিমায় রং তুলির আঁচড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমাশিল্পীরা। ছবি: ভোরের কাগজ

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শারদীয় দুর্গা উৎসবের ধুম ধাম শুরু হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মণ্ডপে প্রতিমায় তুলির আঁচড়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মালাকাররা। এ কারণে উপজেলার হিন্দুপাড়ার প্রতিটি মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। দম ফেলার সময় নেই প্রতিমা তৈরির কারিগরদের।

মহালয়ার মধ্য দিয়ে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আগামী ১ অক্টোবর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে মূল পূজা যা শেষ হবে ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বির্সজনের মধ্য দিয়ে। চিরাচরিত র্ধমীয় প্রথা অনুযায়ী সারা দেশের মতো আর কদিন পরেই শান্তির বার্তা নিয়ে ভবে অবতরণ করবেন হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা।

পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি স্বপন কুমার কর্মকার ভোরের কাগজ প্রতিবেদককে জানান, এ বছর চারঘাট উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রায় ৩৯টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের তুলনায় এবার মণ্ডপে পূজা বেড়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারো সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি মণ্ডপের জন্য চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এ বছর উপজেলার পৌরসভায় নয়টি, চারঘাট ইউনিয়নে চারটি,ইউসুফপুরে তিনটি, শলুয়া ইউনিয়নে সাতটি, নিমপাড়া ইউনিয়নে ১০টি, সরদহ ইউনিয়নে পাঁচটি ও ভায়ালক্ষীপুরে একটি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

চারঘাট সদরের প্রতিমা শিল্পী বকুল কুমার সাহা জানান, প্রতিমা তৈরি তাদের পৈত্রিক ব্যবসা। তাই পৈত্রিক ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য তিনি কাজ করছেন। তিনি ও তার ছেলে জিৎ কুমার সাহা ২০টি প্রতিমা গড়ছেন। প্রতিটি প্রতিমা বিক্রি হবে ২০-৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

সামাজিক সম্প্রীতির উপজেলা চারঘাটে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বাস করে। কালের বিবর্তনে অন্যান্য পূজা হারিয়ে গেলেও আজো চারঘাটে দুর্গা পূজার সুনাম অক্ষুন্ন রয়েছে। পূজা উদযাপন করতে ইতোমধ্যেই বাড়িতে বাড়িতে জামাই-মেয়ে নিয়ে আসায় ধুমধাম শুরু হয়েছে। এছাড়াও প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে, এখন চলছে রং তুলির কাজ । তার পরেই পূজা মণ্ডপগুলো ঢাক-ঢোল বাজনা আর উলুধ্বনিতে ভরে উঠবে।

পূজা উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে পুলিশের পাশাপাশি প্রতিটি পূজা মণ্ডপে ২ জন নারী ও ২ জন পুরুষ আনসার ও ভিডিপি’র সদস্যরাও দায়িত্বে থাকবেন বলে জানান মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলম।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন প্রতিটি পূজামণ্ডপে ৫০০ কেজি করে সরকারি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তায় মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে ও সামাজিক সম্প্রীতি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App