×

জাতীয়

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ‘হটস্পট ম্যানেজমেন্ট’ জরুরি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৪৭ এএম

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ‘হটস্পট ম্যানেজমেন্ট’ জরুরি

কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেছেন, হটস্পট ম্যানেজমেন্ট করতে না পারার কারণেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।

হটস্পট ম্যানেজমেন্ট করার আগে জরুরি দরকার হটস্পট চিহ্নিত করা। এজন্য ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বড় বড় হাসাপাতাগুলোতে যেখানে রোগীর সংখ্যা বেশি সেখান থেকে তথ্য নিতে হবে। সঠিক তথ্যে নিলে দেখা যাবে ঢাকাসহ কয়েকটি এলাকা ডেঙ্গুর জন্য হটস্পট। এই স্পটগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে ক্র্যাশ প্রোগাম করতে হবে। গতকাল রবিবার ভোরের কাগজকে এসব কথা বলেন তিনি।

অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মধ্যে থাকবে অ্যাডালটিসাইডিং। যেখানে ফগিং করে উড়ন্ত মশাগুলোকে মেরে ফেলতে হবে। কারণ, উড়ন্ত মশাগুলো মেরে ফেলতে না পারলে এগুলো জ্যামিটিক হারে ডেঙ্গু ছড়াবে। ওখানে লার্ভিসাইডিং করতে হবে এবং মাইকিং ও লিফলেটসহ প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে হবে। তাদের জানাতে হবে- আপনাদের এলাকায় ডেঙ্গু এপিডেমিক হয়েছে, বাড়িঘর পরিষ্কার রাখুন। তাই, দিনে বা রাতে যখনই হোক অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে পরে ঘুমাবেন। অন্যথায় এখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে। এভাবে বললে জনগণ নিজের ঘরবাড়ি পরিষ্কার করতে ঝাঁপিয়ে পড়বে।

তিনি বলেন, এর পাশাপাশি লার্ভিসাইটিং করে উড়ন্ত মশাগুলো মারতে হবে। অন্য জায়গায় কম প্রাধান্য দয়ে হটস্পটকে প্রাধান্য নিতে হয়। অথচ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে হটস্পট ম্যানেজমন্টে আমরা হয়তো করতে পারছি না। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যে মশাগুলো রয়েছে তারাই ভাইরাস বহন করছে এবং সব জায়গায় ছড়িয়ে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, হটস্পট চিহ্নিত করা জনগণের পক্ষে সম্ভব নয়। এই কাজ সিটি কর্পোরেশন কিংবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করতে হবে। এক্ষেত্রে হাসপাতাল থেকে রোগীর ঠিকানা নিয়ে হটস্পট চিহ্নিত করতে হবে। রোগীরা ডেঙ্গু আক্রান্তের সঠিক তথ্য দিচ্ছে না সিটি কর্পোরেশনের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, দুই হাজার ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি। তারা তো জনে জনে এসে তথ্য দিয়ে যাবে না। তাদের কাছে যেতে হবে। রোগীর কাছে গেলে তারা মিথ্যা বলবে না। এটা করতে না পারলে ব্যর্থতা সিটি কর্পোরেশনের।

সিটি কর্পোরেশন মশা মারতে যে কীটনাশক ব্যবহার করছে তার মান সঠিক আছে জানিয়ে কবিরুল বাশার বলেন, একটি এলাকায় যেসব জায়গায় হটস্পট রয়েছে সেখানে কীটনাশকের ওভার ডোজ দিতে হবে। যতটা ফগিং করা হয় তার চেয়ে তিনগুণ বেশি ফগিং করতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, চিরুনি অভিযান মানে হচ্ছে ডেঙ্গুর লার্ভা যেখানেই আছে খুঁজে বের করে ধ্বংস করা, কিন্তু সেটা তো হচ্ছে না। চিরুনি অভিযানে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ হলে জনগণকে এতটা ভুগতে হতো না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App