গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঝুঁকি নিতে হবে সাংবাদিকদের

আগের সংবাদ

কমলগঞ্জে মনিপুরি কমিউনিটি ট্যুরিজমে আর্থিক সম্ভাবনা

পরের সংবাদ

করতোয়া ট্র্যাজেডি : প্রশাসনের ভূমিকায় অসন্তোষ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২ , ৯:০৯ পূর্বাহ্ণ আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২ , ৯:০৯ পূর্বাহ্ণ

পঞ্চগড়ের বোদায় করতোয়া নদীর আউলিয়ার ঘাটে দায়িত্বরত ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও পুলিশ যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেনি বলে অনেকে মনে করছেন। মাড়েয়া ইউনিয়নের শরিফুল আলম বলেন, প্রশাসনকে আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল। বদেশ্বরী মন্দিরের মহালায়ার দিনে প্রচুর মানুষ নৌকা দিয়ে যাতায়াত করে। প্রতি বছরই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে।

মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু আনছার মো. রেজাউল করিম শামীম বলেন, মাড়েয়া ট্র্যাজেডিতে আমরা হতভম্ব। এত বেশি প্রাণহানি মাড়েয়াবাসী কখনো দেখেনি। মাড়েয়া আউলিয়ার ঘাটের ‘ণ’ আকৃতির সেতুটির কাজ অতিসত্বর শুরু করা উচিত। এটি মাড়েয়াবাসীর প্রাণের দাবি। সেতুটি হলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটত না। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করছি।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, বারবার বাধা দেয়া সত্ত্বেও নৌকায় অতিরিক্ত লোক উঠে। কোনো কথাই লোকজন শুনতে ছিল না। দুই পাড়ে হাজার হাজার মানুষ নদী পাড় হওয়ার অপেক্ষায় ছিল। মানুষের চাপ সামলানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

দমকল বাহিনীর কর্মকর্তা শাহজাহান আলী বলেছেন, নৌকায় যাত্রী সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। আবার গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে নদীতে স্রোতও অনেক বেশি ছিল। তিনি আরো বলেছেন, করতোয়া নদীতে তিন ফুটের বেশি পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল কয়েকদিনে, ফলে নদী ‘ফুলে’ উঠছিল। যে কারণে মাঝ নদীতে পৌঁছার পর যাত্রীর চাপে নৌকাটি উল্টে যায়।

নৌকা ডুবে যাওয়ার পর কিছু মানুষ সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও, অনেকেই এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ জনে। গত দুই দিন ধরে দমকল বাহিনীর কর্মীরা স্থানীয় লোকদের সহযোগিতায় উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে। পঞ্চগড় জেলাসহ অন্যান্য জেলা থেকেও ডুবুরি এসে উদ্ধার কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে।

এমকে

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়