×

জাতীয়

মাইরের বদলে মাইর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:৪৭ পিএম

মাইরের বদলে মাইর
মাইরের বদলে মাইর

সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। ছবি: ভোরের কাগজ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশটাকে আজকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গেছে যে ওসির অনুমতিতেও বারবার সমাবেশের জায়গা পরিবর্তন করতে হয়। দেশে গণতন্ত্র থাকলে ওসির অনুমতি নিয়ে মিটিং করতে হতো না। তাছাড়া বিএনপিকে হটাতে সমাবেশে নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালাচ্ছে, মারধর করছে। তবে এখন থেকে আমরাও আর চুপ করে থাকবো না। মাইরের বদলে মাইর ফেরত দেয়া হবে।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর হাজারীবাগে সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের লাগবাগ, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলীয় নেতা নুরে আলম, আব্দুর রহিম, শাওন প্রধানের হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগরীর ১৬টি স্পটে ধারাবাহিক সমাবেশের অংশ হিসেবে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের অনেকের মুখে একটা বুলি হয়ে গেছে বিএনপি-জামায়াত, বিএনপি-জামায়াত। এখন সময় এসেছে, আওয়ামী লীগ-জামায়াত, আওয়ামী লীগ-জামায়াত বলার। জামায়াতও উর্দু, আওয়ামী লীগও উর্দু। দুটো একসঙ্গে মিলবে ভালো। কেননা উনারা জামায়াতের নিবন্ধন ক্যানসেল করেন। কিন্তু বেআইনি ঘোষণা করেন না। তাহলে কি আমি বলবো, উনাদের (জামায়াত-আওয়ামী লীগের) পরকীয়া চলছে?

মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজের সভাপতিত্বে, কেএম জোবায়ের এজাজ ও আরিফা সুলতানা রুমার পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি নেতা রফিকুল আলম মজনু, রবিউলি আলম রবি প্রমুখ।

টুকু বলেন, আমাদের বলা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত, আর আপনারা আমাদের বলেন যুদ্ধবিরোধী দল। আমিও স্বীকার করলাম। কিন্তু নিবন্ধন বাতিল করলেন, বেআইনি ঘোষণা করলেন না কেন? তার অর্থ আওয়ামী লীগ-জামায়াতের সঙ্গে তলে তলে বন্ধুত্ব করে। সেজন্য বাতিল করে না। তাই আজকে থেকে আওয়ামী-জামায়াত হবে, বিএনপি-জামায়াত আর হবে না।

আওয়ামী লীগের লোকজন শুধু বলে উন্নয়ন, উন্নয়ন, উন্নয়ন। আমি উন্নয়ন সম্পর্কে কিছু বলবো না, আমরাও উন্নয়ন চাই। আমরাও উন্নয়ন করেছি। এদেশে যা কিছু উন্নয়ন হয়েছে, তা হয়েছে শহীদ জিয়ার আমলে। তিনি বীজ বপন করে গেছেন। তার উপরে আজকে বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে।

তিনি বলেন, এই দেশের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ভদ্রলোক নাকি তাবলীগ করেন। অন্যায় দেখতে দেখতে অসহ্য হয়ে গেছেন। তিনি কয়দিন আগে অফিসারদের মিটিংয়ে বললেন, আমাদের যে বহিঃসম্পদ বিভাগ আছে তারা চুরি করার জন্য বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে আসে। ঋণ নিয়ে এসে চুক্তি করে প্ল্যানিং কমিশনে পাঠায়, তারা সেটা পাস করে দেয়। পরে সেই ঋণ আমাদের গলার ফাঁদ হয়ে যায়। এটা আমার কথা না, বাংলাদেশের কেবিনেট সচিবের কথা, যিনি এখনও চাকরিতে বহাল আছেন। আমরা গিবত করতে চাই না, তোমার কেবিনেট সেক্রেটারিই বলে তোমার উন্নয়ন মানে বাংলাদেশের মানুষের গলার ফাঁদ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App