×

পুরনো খবর

বিদেশি পর্যটকদের জন্য অনঅ্যারাইভাল ভিসা সহজ হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:২২ এএম

বিদেশি পর্যটকদের জন্য অনঅ্যারাইভাল ভিসা সহজ হবে

বক্তব্য রাখছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী

বিদেশি পর্যটকদের জন্য অনঅ্যারাইভাল ভিসা সহজ হবে

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ সুবিধা দিতে বাংলাদেশে অন অ্যারাইভাল ভিসা আরও সহজ করা হবে। তাই এবিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। যাতে পর্যটকেরা সহজেই বিদেশিরা বাংলাদেশে আসতে পারেন।

রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের (এটিএফ) নবম আয়োজন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মেলা শুরু হবে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর। এবারের আয়োজন হবে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলি কদর, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. জাবের, হোটেলস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতিকুর রহমান, ঢাকায় নেপাল দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন কুমার রায়, এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের চেয়ারম্যান মাহিউদ্দিন হেলাল, পরিচালক বোরহান উদ্দিন, ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ট্রিয়ার) সভাপতি খবিরউদ্দিন আহম্মেদ, ট্যুরিজম ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হাবিব আলী ও বিডি ইনবাউন্ডের প্রেসিডেন্ট রেজাউল ইকরাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে হাওরে একটা সড়ক তৈরি করা হয়েছে, সেখানে বিপুল সংখ্যক পর্যটক নিয়মিত যাচ্ছে। মাস্টার প্ল্যানে হাওরকে কীভাবে সাজাতে হবে সেই সুপারিশ করা হয়েছে। দেশে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বিপুল সংখ্যক রিসোর্ট হচ্ছে। হাওর হাওরের মতো থাকবে, পাহাড় পাহাড়ের মতো থাকবে। পাহাড় কেটে হাওর নষ্ট করে রিসোর্ট- এরকম পর্যটন হতে পারে না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাসী যখন দেখবে আমাদের লেক, নদী, পাহাড়, সমুদ্র, চা বাগান, পদ্মা ব্রিজ, মেট্রো রেল, ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, তখন বাংলাদেশ ভ্রমণে তাদের আগ্রহ বাড়ছে। এ সবকিছুই কিন্তু আমাদের পর্যটনকে বিকশিত করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ। এসব পদক্ষেপের কারণেই একজন পর্যটক এসে বাংলাদেশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে পর্যটন শিল্পের পুনরুদ্ধারের জন্য এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের আয়োজন অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণে উৎসাহিত করবে। এছাড়া দেশি-বিদেশি পর্যটন সংস্থা মেলায় অংশগ্রহণের ফলে আন্তর্জাতিকভাবে পর্যটন শিল্পের দারুণ প্রচার-প্রচারণার সুযোগ বাড়বে।

সবার ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা দেশের পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করতে পারে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের দেশ, আমাদের বিমানবন্দর থেকে পর্যটন আকর্ষণীয় জায়গা সবকিছুই একজন দেশি এবং বিদেশি পর্যটকের চিত্ত বিনোদন করবে। কারণ সমস্ত কিছু আন্তর্জাতিক লেভেলের কাছাকাছি। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হওয়ার যে লক্ষ্য রয়েছে সে লক্ষ্য পূরণে পর্যটন শিল্প বড় ভূমিকা রাখবে।

মোকাম্মেল হোসেন বলেন, সুন্দর সময়ে পর্যটন মেলা আয়োজন করা হয়েছে। দেশের পর্যটন খাত খুব খারাপ সময় অতিবাহিত করেছে। অভ্যন্তরীণ ট্যুরিজমে অনেকটা সাফল্য অর্জন করেছি। এ মেলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে তুলে ধরার বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমরা সবাই চাই, বাংলাদেশ যেন এগিয়ে যায়। ট্যুরিজম খাতে আগামীতে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা নিয়ম মাফিক এগিয়ে যাচ্ছি। অবকাঠামো সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। ভবিষ্যতে ট্যুরিজম শিল্পে বাংলাদেশ আরও ভালো করবে।

মাহিউদ্দিন হেলাল বলেন, আসন্ন নবম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের আটটি দেশ অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশসহ নপোল, থাইল্যান্ড, ভারত, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও লিথুনিয়ার প্রায় ১৩০টি বভিন্নি র্পযটন সংস্থা এতে অংশগ্রহণ করবো। যার মধ্যে ৫০টির অধিক বিদেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মেলায় আসন্ন পর্যটন মৌসুমে দেশে-বিদেশে বাড়ানোর বিভিন্ন আকর্ষণীয় ভ্রমণ অফার, হোটলে, রিসোর্ট বা প্যাকজে বুকিংসহ বিশেষ ছাড়ে ব্যবস্থা থাকবে। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজলাইন্স, এয়ারলাইন্স, ট্যুর অপারটের ও থমিপার্কসহ বিনোদেনের আরও অনেক প্রতিষ্ঠান।

এছাড়া মেলায় বৈচিত্র্যময় আয়োজনে থাকবে পর্যটন বিষয়ক সেমিনার, শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিজনেস টু বিজনেস মিটিং। থাকবে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ মেলার মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র দর্শনার্থীদের মধ্যে তুলে ধরার প্রচেষ্টা থাকবে। এবারের মেলায় এয়ারলাইন্স পার্টনার হিসেবে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, হসপিটালিটি পার্টনার হিসেবে রয়েছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, অ্যাডভেঞ্চার ডাইনিং পার্টনার ফ্লাই ডাইনিং, ক্রুজ পার্টনার ঢাকা ডিনার ক্রুজ, এন্টারটেইনমেন্ট পার্টনার ফ্যান্টাসি কিংডম ও ট্রান্সপোর্ট পার্টনার কনভয় সার্ভিস।

নবম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের প্রাইম পার্টনার কান্ট্রি নেপাল, পার্টনার কান্ট্রি থাইল্যান্ড, ফিচার কান্ট্রি ভারত, মলোশিয়া, শ্রীলঙ্কা, লিথুনিয়া ও মেলার হোস্ট কান্ট্রি বাংলাদেশ।

মেলার প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা। প্রবেশ কুপনের বিপরীতে র‌্যাফেল ড্র বিজয়ীদের জন্য থাকবে এয়ারলাইন্স টিকিটসহ আকর্ষণীয় গিফট ভাউচার। এছাড়া প্রতিটি টিকিটেই মেলার এন্টারটেইনমেন্ট পার্টনার ফ্যান্টাসি কিংডমে প্রবেশে থাকবে ৫০ শতাংশ ছাড়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App