নেত্রকোনার মদনে বউ-শাশুড়ির দ্বন্দ্বে শফিকুল ইসলাম (৬০) নামে একজন মসজিদের ইমাম নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারীসহ আরও ৭ জন আহত হয়েছেন।

রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলা ফতেপুর ইউনিয়নের রুদ্রশ্রী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শফিকুল ইসলাম ইটনা উপজেলার গজারিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।

এ ঘটনায় রাতেই শরুফা আক্তার (৪৫) নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। শরুফা আক্তার ফতেপুর মড়লপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।

আহতদের মধ্যে ইব্রাহীম (৮০), মোবারক হোসেন (২৫), মাসুম মিয়া (১২), মিনারা আক্তার (৫০) এর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত জুনাঈদ (১৫), রিনা আক্তার (৩৮) ও কাদির মিয়া (১৩) মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রুদ্রশ্রী গ্রামের এলাল উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন তিন বছর আগে ফতেপুর মড়লপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে মুন্না আক্তারকে বিয়ে করেন। রবিবার সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মুন্না আক্তারের সাথে তার শাশুড়ি রিনা আক্তারের ঝগড়া হয়। মুন্না আক্তার বাবার বাড়িতে গিয়ে শাশুড়ির সাথে ঝগড়ার কথা তার পরিবারকে জানান। এরপর মুন্নার বাবা আব্দুল মান্নান তার পরিবারের লোকজন নিয়ে ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে মেয়ের জামাই মোবারক হোসেনের বাড়িতে এসে মোবারক হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে।

এ সময় প্রতিবেশী মৌলভী শফিকুল ইসলাম এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। হামলাকারীরা এভাবে ৮ জনকে আহত করে। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৌলানা শফিকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে ছুরিকাঘাতে শফিকুল ইসলাম নামে একজন ইমাম নিহত হয়েছে। নিহতের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য সোমবার নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুন্না আক্তারের মাশরুফা আক্তারকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।