×

জাতীয়

বাংলাদেশি পাইলটদের জন্য আসামে এভিয়েশন ট্রেনিং একাডেমি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:২৪ পিএম

বাংলাদেশি পাইলটদের জন্য আসামে এভিয়েশন ট্রেনিং একাডেমি

রেড বার্ড এভিয়েশন ট্রেনিং একাডেমিতে প্রশিক্ষণার্থীরা

১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চীনে জাপানি অগ্রাভিযানকে প্রতিহত করতে বোমাবর্ষণের জন্য মিত্রশক্তি আসামে লিলাবাড়ি এয়ারপোর্ট প্রতিষ্ঠা করে। বর্তমানে এটি এ অঞ্চলের এভিয়েশন মানচিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এই এয়ারপোর্ট বাণিজ্যিক বিমানের পাইলট হতে আগ্রহী তরুণ-তরুণীদের জন্য এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে। আর এ সাফল্যের কারিগর রেড বার্ড এভিয়েশন ট্রেনিং একাডেমি- যা এই বিমানবন্দরে অবস্থিত। এ বছরের এপ্রিলের শেষ দিক থেকে এই একাডেমিতে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা তরুণ-তরুণীরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। প্রতিবেশী বাংলাদেশের আগ্রহী তরুণ-তরুণীরাও এই একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন- যা ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে খুব বেশি দূরে নয়।

ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিনধিয়া এ বছরের ১২ এপ্রিল লিলাবাড়ি এয়ারপোর্টে এই পাইলট প্রশিক্ষণ একাডেমি উদ্বোধন করেন। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

তখন থেকেই রেড বার্ড এভিয়েশন একাডেমি প্রশিক্ষণার্থী পাইলটদের জন্য নিয়মিত উড্ডয়ন প্রশিক্ষণের আয়োজন করে আসছে। কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্সের জন্য তাদের এই প্রশিক্ষণ নিতে হয়। এই একাডেমির সিইও করন মান বলেন, কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্সের জন্য লিলাবাড়ি এয়ারপোর্টে এই প্রশিক্ষণ অনুক‚ল আবহাওয়া পরিস্থিতি ও এ অঞ্চলে অপেক্ষাকৃত ফ্রি এয়ার ট্রাফিক বিবেচনায় ফাস্ট ট্র্যাক ভিত্তিতে চলছে। লিলাবাড়ির সাড়ে ৭ মাইল ব্যাসার্ধজুড়ে ফ্রি এয়ার ট্রাফিক অবস্থা থাকায় উড্ডয়নের জন্য আমরা অপেক্ষাকৃত অনুকূল পরিবেশ পেয়ে থাকি।

বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ সুবিধা দিতে রেড বার্ড এভিয়েশন একাডেমি ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। একাডেমির অভিজ্ঞ ও পেশাদার ইন্সট্রাক্টররা তরুণ-তরুণীদের পেশাদার এয়ারলাইন্স পাইলট হতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেন। এই একাডেমির রয়েছে নিজস্ব একক ও মাল্টি-ইঞ্জিন প্রশিক্ষণ এয়ারক্রাফট। লিলাবাড়ি এয়ারপোর্টের এই প্রশিক্ষণ একাডেমিতে দুটি প্রশিক্ষণ এয়ারক্রাফট- টেকনাম পি২০০৪ জেসি (একক ইঞ্জিন) এবং টেকনাম পি২০০৬টি (মাল্টি ইঞ্জিন) রয়েছে, যাদের আছে ২০০ ঘণ্টা উড্ডয়ন সক্ষমতা এবং লো এমিশন। সিইও করন মান আরো জানান, প্রতি দুমাস অন্তর পাইলট প্রশিক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের ভর্তি করা হয়। কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স ছাড়াও এই একাডেমি এয়ারলাইন স্পেসিফিক প্রিপারেটরি ক্লাস, কমপাস, আইআর ট্রেনিং, টাইপরেটিং এবং এ৩২০ এফবিএস ইত্যাদির ব্যবস্থা করে থাকে।

গুণগত মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ, যার সাক্ষ্য বহন করছে আমাদের অতীত রেকর্ড।

ভারতের পুরো পূর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত এবং বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানে কোনো ফ্লাইট ট্রেনিং একাডেমি না থাকায় বাংলাদেশ থেকে আগ্রহী তরুণ-তরুণীরা অপেক্ষাকৃত কম খরচে লিলাবাড়ি এয়ারপোর্টে এই প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ নিতে পারেন। কারণ বাণিজ্যিক পাইলটদের চাহিদা দিন দিনই বাড়ছে।

লেখক: সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App