×

জাতীয়

নদী দখলমুক্ত করাই চ্যালেঞ্জ: নৌ-প্রতিমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৫১ পিএম

নদী দখলমুক্ত করাই চ্যালেঞ্জ: নৌ-প্রতিমন্ত্রী

রবিবার সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নদী রক্ষা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: ভোরের কাগজ

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সারাদেশের নদীগুলো দখল মুক্ত করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত ও দখল মুক্ত করার কাজ চলছে।

রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নদী রক্ষা দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দখল ও দূষণের কারণে নদীগুলোর নব্যতা কমেছে, দূষণের কারণে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। নদী দখল মুক্ত করার কার্যক্রম আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই অনেক নদী দখলমুক্ত করেছি। নদীর দখলমুক্ত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর কারণ একদিকে নদীর তীর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করা হয়েছে। অন্যদিকে নদীকে বিভিন্নভাবে দূষিত করা হচ্ছে। সারাদেশে নদীগুলো চিহ্নিত করার কাজ চলছে। নদীর পরিবেশ ও দখল নিয়ে কিছুটা রাজনীতিও হচ্ছে। এমনকি কোথাও কোথাও সাম্প্রদায়িকতার আশ্রয় পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা মংলা বন্দর নদী নয় মিটার ড্রাফট করার উদ্যোগ নিলে পরিবেশ রক্ষার নামে বাধা দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে কাজ করার সময় বলা হয় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হবে এবং পানির প্রবাহ স্লো হয়ে যাবে।

খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আপনারা আস্থা রাখুন আওয়ামী লীগ এই দেশকে ক্ষতবিক্ষত করবে না। বঙ্গবন্ধু এই দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য ২৩ বছর লড়াই করেছেন। তার জন্যই আমাদের জাতীয় পরিচয় আছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন। ঢাকার চারপাশের নদীগুলো রক্ষায় জন্য তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চলছে। শেখ হাসিনার সাহসী আমরা নদী রক্ষার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছি। শেখ হাসিনা নদী রক্ষায় কমিশন করে দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানের নৌ পরিবহন সচিব মো. মোস্তফা কামাল বলেন, নদী দখলের সঙ্গে সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি জড়িত রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর নদী রক্ষায় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। ঢাকার চারপাশে শিল্প কলকারখানার কালো দূষিত পানি নদীতে মিশছে অথচ পরিবেশ অধিদপ্তর আমাদেরকে অবহিত করছে না, কোন ব্যবস্থাও নিচ্ছে না। পরিবেশ অধিদপ্তরের সার্টিফিকেট নিয়ে নদী দূষণ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে নৌ-পুলিশ ও শিল্প পুলিশ কোন ভূমিকা রাখছে না। তাদেরকেও ভূমিকা রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডঃ আইনুল নিশাত। বিশেষ অতিথি হিসেবে জাতিসংঘের আবাসিক কো-অর্ডিনেটর মিজ গোয়েন লুইস, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App