×

জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দু নেতাদের কথা শুনলেন প্রধানমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:২১ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দু নেতাদের কথা শুনলেন প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দু নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি সংখ্যালঘু নেতারা। এসময় তারা প্রধানমন্ত্রীকে ১০ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপিও দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশ নিতে এখন নিউইয়র্কে রয়েছেন। সেখানেই তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানান।

যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার প্রভাষক ডক্টর দ্বিজেন ভট্টাচার্য্য কর্তৃক পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রায় দেড়ঘন্টা ধরে সংখ্যালঘুদের কথা শোনেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেড় ঘন্টারও বেশি সময় স্থায়ী ওই সভায় প্রতিনিধি দলের প্রত্যেকের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং তাদের দাবি ও উদ্বেগের বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন। এসময় তারা সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, পুজোর সময় নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনেন।

প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধিদের স্পষ্ট ভাষায় বলেন, বাংলাদেশে সব নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে এবং সংখ্যালঘু নির্যাতকদের বিচার সব সময়ই হচ্ছে। আইনের হাত থেকে কোনো অপরাধীই রেহাই পাবে না বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বরাবরে দেয়া স্মারকলিপিতে যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যালঘুরা যেসব দাবি তুলেন তার মধ্যে রয়েছে, বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এপর্যন্ত সংঘটিত সকল সংখ্যালঘু নির্যাতনের শ্বেতপত্র তৈরি করে প্রকাশ করতে হবে, অবিলম্বে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন কমিশন রিপোর্টে চিহ্নিত সংখ্যালঘু নির্যাতকদের বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দানের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে, যারা নির্যাতনের শিকার তাদের সার্বিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতে’র মিথ্যা অজুহাতে আটক এবং এই ‘অপরাধে’ শাস্তি পাওয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সকলকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে পুলিশকে এই অমানবিক নিষ্ঠুরতা বন্ধ করতে নির্দেশ দিতে হবে। ইউনেস্কো স্বীকৃত বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দুর্গাপূজা ও শারদোৎসব সহ সকল প্রধান পূজাপার্বণে কঠোর নিরাপত্তা দিতে হবে। একটি আইন পাশ করে সকল সংখ্যালঘু নির্যাতকদের ওই আইনে বিচার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয় করার পাশাপাশি সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাশ করতে হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আদলে হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান ফাউন্ডেশন গঠন করতে হবে। সংখ্যালঘু নির্যাতক ও এর সহায্যকারীদের নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অর্পিত সম্পিত্তি প্রত্যার্পণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে হবে। পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে করতে হবে এবং ১৯৭২ সালের সংবিধান পুনর্বহাল করে দেশের সব নাগরিকের সম-অধিকার দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করা নেতাদের মধ্যে রয়েছেন নিউইয়র্ক সংখ্যালঘু নেতাদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার প্রভাষক ডক্টর দ্বিজেন ভট্টাচার্য্য, জগন্নাথ হল এলামনাই এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও মহামায়া মন্দিরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট শ্যামল চক্রবর্তী, ইউনাইটেড হিন্দুজ অফ আমেরিকার সিনিওর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের ডিরেক্টর ভজন সরকার, যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক ও বাংলাদেশে পূজা সমিতির ডিরেক্টর বিষ্ণু গোপ, এবং মূল ধারার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, যুক্তরাষ্ট্র যুব ঐক্য পরিষদের প্রেসিডেন্ট দিলীপ নাথ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন একজন প্রতিমন্ত্রী, একজন এম.পি. ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ও ডেপুটি কনসাল জেনারেল এবং সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App