সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এটিকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে দেশজুড়ে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এসময় একটি শ্রেণি বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের পাঁয়তারা ও ষড়যন্ত্র করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে গতবছর কুমিল্লায় সে ধরনের এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। এবছর যাতে সে ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, দুর্গাপূজায় যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সিনেপ্লেক্স মিলনায়তনে স্বনামধন্য মিউজিক কোম্পানি সংগীতা’র আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী’র মিউজিক ভিডিও অ্যালবাম ‘পূজো আসে’ এর প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এসব কথা বলেন।

সংগীত বিষয়ক পত্রিকা সারেগামা’র সম্পাদক ও উপদেষ্টা রওনাক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন একাত্তরের শব্দসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনোয়ার হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগীতা’র প্রধান উপদেষ্টা খায়রুল হাসান। মিউজিক ভিডিও অ্যালবাম সম্পর্কে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন মিউজিক ভিডিও’র কণ্ঠশিল্পী অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কে এম খালিদ বলেন, আগে ঈদ ও দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বিশেষ সংখ্যার হিড়িক পড়ে যেতো, যা এখন তেমন দেখা যায় না। তাছাড়া বিভিন্ন অডিও কোম্পানি এ উপলক্ষে বিভিন্ন গানের অ্যালবাম বের করতো। সেসব কোথায় হারিয়ে গেল।

তিনি বলেন, এবার শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারাদেশে প্রায় ৩৩ হাজার প্রতিমা তৈরি হচ্ছে যা গত বছরের তুলনায় বেশি। যেকোন ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং তা সব ধর্মেই রয়েছে। এটি মূলতঃ বিশ্বাস ও সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভ করার উদ্দেশ্যেই করা হয়। প্রতিমন্ত্রী এসময় ড. অরূপরতন চৌধুরী’র মিউজিক ভিডিও অ্যালবাম ‘পূজো আসে’র বহুল প্রচার ও সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন। উল্লেখ্য, মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন এ বাবুল এবং তার সহকারী হিসাবে কাজ করছেন নিলয়। সংগীতায়োজন করেছেন সুমন কল্যাণ। গানটির কথা লিখেছেন প্রসেনজিৎ পূজা ওঝা। কোরিওগ্রাফিতে ছিলেন শাকিল ও ভিডিওগ্রাফিতে ছিলেন সানি খান। গানটিতে মডেল হয়েছেন শান্তা পাল, রিয়া বর্মন, রাইসা, আরাফাত, দেবদীপ এবং এক ঝাঁক নৃত্যশিল্পী।