×

মুক্তচিন্তা

ঢাকা থেকে কলকাতা কতদূরে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৩০ এএম

ঢাকা এবং কলকাতা খণ্ডিত বাংলার দুটি পৃথক মানচিত্রের পৃথক রাষ্ট্রের রাজধানী ও প্রদেশের রাজধানী। ’৪৭-এর দেশ ভাগে বাংলা প্রদেশ খণ্ডিত হওয়ার ফলে পূর্ব বাংলা পাকিস্তান এবং পশ্চিম বাংলা ভারত রাষ্ট্রাধীনে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। আমরা পাকিস্তান রাষ্ট্র ভেঙে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছি, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১-এ। অপরদিকে পশ্চিম বাংলা বৃহৎ ভারত রাষ্ট্রের একটি প্রদেশ। কলকাতারও পূর্বে ঢাকা সুবেহ বাংলার রাজধানী ছিল, সেই মোগল শাসনামলে। অপরদিকে কলকাতা শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর যুদ্ধ বিজয়ের পর। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা নদীবেষ্টিত পূর্ববঙ্গের সমতল ভূমি ঢাকা। ১৭ শতকের মোগল শাসনাধীন প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকার আত্মপ্রকাশ। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার তখনই ঢাকাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের নামানুসারে জাহাঙ্গীরাবাদ নামও পেয়েছিল ঢাকা। বাণিজ্যের সুবিধার জন্য ঢাকা ইউরোপীয় বণিকদের আকৃষ্ট করেছিল এবং তাদের আবাসস্থলও ঢাকায় গড়ে উঠেছিল। মোগল সুবাদার নায়েব নাজিম এবং দেওয়ানদের দ্বারা নির্মিত অট্টালিকা, মসজিদ, বাগিচা ইত্যাদি স্থাপত্য নির্মিত হয়েছিল, যার অনেক কিছু কালের গর্ভে বিলীন হলেও, অনেক কিছুর অস্তিত্ব আজো আছে প্রতœতত্ত্ব স্মৃতি হিসেবে। সুতানটি, গোবিন্দপুর এবং কলকাতা নামক তিনটি গ্রামকে নিয়ে কলকাতার নগরায়ণ শুরু হয়। সে তুলনায় ঢাকা প্রাচীন হলেও ঢাকাকে দীর্ঘ মেয়াদে সুবাহ বাংলার রাজধানী রাখা হয়নি। নবাব মুর্শিদকুলি খানের শাসনামলে রাজধানী ঢাকা থেকে স্থানান্তরিত হয়ে মুর্শিদাবাদ চলে যায়। ঢাকার উন্নয়ন বা উন্নতি তাই আর এগোতে পারেনি। অথচ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতাকে গড়ে তুলেছিল তখনকার লন্ডনের আদলে এবং দীর্ঘমেয়াদে কলকাতা অবিভক্ত বাংলা প্রদেশের কেবল নয়, ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার রাজধানী ছিল। ব্রিটিশ ইন্ডিয়ায় ভারতবর্ষ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা এবং বার্মা [মিয়ানমার] অন্তর্ভুক্ত ছিল। রাজধানী কলকাতা থেকেই ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ঔপনিবেশিক শাসন কার্য পরিচালনা করত। সঙ্গত কারণেই কলকাতার গুরুত্ব এবং মর্যাদা ছিল সারা উপনিবেশে ঈর্ষাজনক। কলকাতার আধুনিক নগরায়ণের পথকে মসৃণ করে তুলেছিল। ১৯১১ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়ার পর ভারতবর্ষের ইংরেজ শাসকরা প্রতিশোধমূলক কলকাতা থেকে রাজধানী দিল্লিতে স্থানান্তর করে নিয়েছিল। এরপর রাজধানীর মর্যাদা হারিয়ে কলকাতার উন্নয়ন থমকে যায়। কিন্তু ইতোমধ্যে কলকাতা শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি সব ক্ষেত্রেই ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠতম অবস্থান নিশ্চিত করে নিয়েছিল। বিশেষ করে সারা উপনিবেশে বাঙালি জাতিসত্তার মানুষ অগ্রসর জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। ব্রিটিশবিরোধী স্বদেশি আন্দোলনের সূত্রপাতও হয় বাংলা প্রদেশে। অগ্রবর্তী বাঙালিরাই ব্রিটিশ ভারতে ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে যেমন অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল, তেমনি অকাতরে আত্মদানও করেছিল। অখণ্ড বাংলা প্রদেশ ব্রিটিশদের বিদায়ের পর দ্বিখণ্ডিত হয়ে দুই পৃথক ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রে ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়ে গিয়েছিল। বাঙালি জাতিসত্তার এই বিভক্তির পেছনে ক্রিয়াশীল হয়ে উঠেছিল দ্বিজাতিতত্ত্ব। অর্থাৎ হিন্দু ও মুসলিম দুই প্রধান সম্প্রদায়ের মধ্যকার বিভাজনে সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুর ভিত্তিতে বাংলা ভাগ। বাংলা ভাগের ট্র্যাজেডি পলাশীর থেকেও ছিল মর্মস্পর্শী এবং উচ্ছেদ, বিচ্ছেদ উৎপাটনের নৃশংস ট্র্যাজেডি। বাঙালি জীবনে সর্বাপেক্ষা নৃশংস, মর্মান্তিক পরিণতি। সে ক্ষতি আর পূরণ হওয়ার নয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সীমান্তবর্তী ভারতের বাঙালি অধ্যুষিত প্রদেশ পশ্চিম বাংলা, ত্রিপুরা এবং প্রদেশের জনসংখ্যার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আসামের বাঙালিদের অবদান আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। জাতিগত নৈকট্য কত গভীর ও স্থায়ী একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল সম্প্রদায়গত ঐক্যের চেয়েও জাতীয়তার ঐক্যের দৃঢ়তা। নয়তো একই ধর্মমতের বাঙালি মুসলমানদের ওপর পাকিস্তানি মুসলিম ধর্মাবলম্বী সেনাবাহিনীর নির্মম গণহত্যা, নারী নিগ্রহের ঘটনা কীভাবে সম্ভব হয়েছিল! ঘৃণ্য অপকীর্তি সংঘটনে নৃশংস পন্থায় বাঙালি জাতিকে শিকড়সহ উপরে ফেলে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। ধর্মমতের অভিন্নতার কোনো মানবিক সহমর্মিতা তো দেখা যায়নি। আমাদের ভূখণ্ডের সীমান্তবর্তী যদি বাঙালি অধ্যুষিত পশ্চিম বাংলা, ত্রিপুরা কিংবা দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি অধ্যুষিত আসাম না হয়ে অবাঙালি অধ্যুষিত প্রদেশগুলো হতো, তবে কি আমরা একই ধরনের মানবিক সহায়তা পেতাম? নিশ্চয় না। তার নমুনা তো বিএসএফের অবাঙালি জোয়ানদের সীমান্তে বাংলাদেশিদের নিয়মিত হত্যাকাণ্ডেই প্রমাণিত হয়ে যায়। এছাড়া আমরা যারা ভারতে প্রায় যাতায়াত করি তারা তো ইমিগ্রেশন, কাস্টমসে কর্মরত ভারতীয় অবাঙালিদের আচরণেও সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের বাঙালি জাতিসত্তার মানুষের আবেগ আর মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্মক সহায়তাকারী ভারতের শাসকশ্রেণির দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চয় ভিন্নতর ছিল। মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ বললেও ভুল হবে না। একটি নির্মোহ অপরটি রাজনৈতিক ফায়দার অভিপ্রায়। আমরা বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্র ভেঙে পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের চিন্তা ও মননে জাতীয়তা বোধ তীক্ষè এবং স্পর্শকাতর, সেটা উপলব্ধি করি। আমাদের প্রতি অবাঙালি পাকিস্তানিদের আচরণ আমাদের মধ্যে যে অবাঙালি বিদ্বেষ সৃষ্টি করেনি, সেটাও অসত্য নয়। এতে আমাদের প্রজন্ম জাতীয়তাবাদে খুবই স্পর্শকাতর। যেমনটা পশ্চিম বাংলার কিংবা ভারতীয় বাঙালিদের মধ্যে তেমন দেখা যায় না। বরং তারা ভারতীয় জাতীয়তাবাদে আসক্ত বা মোহমত্ত। ভারতীয় শাসকশ্রেণি বৃহৎ ভারতের অসংখ্য জাতি ও সম্প্রদায়কে একত্রিত রাখার অভিপ্রায়ে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রচারণায় সব জাতিসত্তার মানুষদের কব্জা করে শতভাগ না হলেও সফলতা যে পেয়েছে সেটা অস্বীকার করা যাবে না। বিচ্ছিন্নভাবে হলেও জাতিগত সমস্যা কিন্তু মাথা চাড়া দিয়ে ওঠেনি বা উঠছে না, সেটাও অসত্য নয়। তবে এককেন্দ্রিক শাসনের সুকঠিন বৃত্তে বন্দি ভারতের বিভিন্ন ভাষাভাষীরা। হিন্দি ভাষা ভারতের সরকারি ভাষা, রাষ্ট্রভাষা নয়। বর্তমান বিজেপি সরকার হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণার পরমুহূর্তে বিভিন্ন ভাষাভাষীদের প্রবল প্রতিবাদের মুখে কেন্দ্রীয় সরকার চুপ হয়ে যায়। তবে হিন্দির আগ্রাসন কিন্তু ভারতব্যাপী প্রসারিত। দক্ষিণ ভারতের পাঁচ রাজ্য যথাক্রমে অন্ধ্র, তামিলনাড়–, তেলেঙ্গানা, কেরালা, কর্নাটক রাজ্যে হিন্দি ভাষার অনুপ্রবেশ ঘটতে পারেনি। দক্ষিণের ওই রাজ্যগুলো নিজেদের ভাষার পাশাপাশি দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি ভাষা গ্রহণ করার ফলে হিন্দি ভাষা সেখানে বিস্তার লাভ করেনি। এমনকি হিন্দি চলচ্চিত্র ভারতসহ সারা বিশ্বে প্রদর্শিত হলেও দক্ষিণ ভারতে কিন্তু হিন্দি চলচ্চিত্রের প্রবেশ ঘটেনি। ঘটেনি হিন্দু ভাষার টিভি চ্যানেলও। নিজ নিজ মাতৃভাষার প্রতি তাদের দৃঢ় অবস্থানে হিন্দির আগ্রাসন তারা রুখে দিতে পেরেছে। যেটা পশ্চিম বাংলাও পারেনি। বাঙালি জাতি সারা ভারতের এক সময়কার অগ্রবর্তী জাতি হিসেবে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করলেও কালের বিবর্তনে সেটা ধরে রাখতে পারেনি। খোদ কলকাতা শহরে বাঙালি সংখ্যালঘু। মাত্র ৩৫ শতাংশ বাঙালি কলকাতায় বসবাস করে। অপরদিকে বিভিন্ন জাতিসত্তার মানুষের বসবাস ৬৫ শতাংশ। তাই কলকাতায় বাংলাভাষীর চেয়ে অবাঙালিভাষীদের সংখ্যা অধিক। বাঙালি মানসেও ভারতীয় জাতীয়তাবাদ শিকড় বিস্তার করে নিজ জাতীয়তা নিজ মাতৃভাষা অনেকটাই পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। সর্বভারতীয় প্রচার প্রতিষ্ঠার হাতছানি বাঙালিদের মাতৃভাষার চেয়ে হিন্দি, ইংরেজি ভাষার অভিমুখে ঠেলে দিয়েছে। স্বীকার করতেই হবে বাংলা ভারতের আঞ্চলিক ভাষা। কিন্তু এটাও তো সত্য হিন্দিও আঞ্চলিক ভাষা। কেবল সরকারি ভাষার মর্যাদা পেয়ে বিভিন্ন জাতিসত্তার মানুষের ওপর কর্তৃত্ব করে যাচ্ছে। সাংস্কৃতিকভাবেও হিন্দি ভাষার আধিপত্য দক্ষিণ-ভারত ব্যতীত সারা ভারতে বিস্তার ঘটিয়ে হিন্দির একচ্ছত্র আধিপত্য নিশ্চিত করেছে, ভারতের হিন্দিভাষী শাসকশ্রেণি ও পুঁজিপতিশ্রেণি। ভারতে সাংস্কৃতিকভাবে সবার চেয়ে সমৃদ্ধ বাংলা ভাষা এখন হিন্দির প্রবল প্রতাপে দিকদিশাহীন মুমূর্ষু অবস্থানে। ভারতের বিভিন্ন ভাষায় বাংলা সাহিত্যের অনুবাদ এবং চলচ্চিত্রের রিমেক প্রচলন ছিল। এখন সেটা ঠিক বিপরীতে। হিন্দির অনুবাদ নয় সরাসরি হিন্দি ভাষার সাহিত্য-সংস্কৃতি, হিন্দি চলচ্চিত্র, টিভি সিরিয়ালসহ নানা হিন্দি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে বাঙালিরা বুঁদ হয়ে পড়েছে। কেবল পশ্চিম বাংলার বাঙালিরা কেন? আমাদের দেশে কি হিন্দির আগ্রাসন নেই? হিন্দি চলচ্চিত্র, গান, সিরিয়ালসহ হরেক অনুষ্ঠানের টিভি চ্যানেলের দর্শকই সর্বাধিক বললে কি অত্যুক্তি হবে? আমাদের শহরগুলোর পাশাপাশি গ্রাম, মফস্বলে পর্যন্ত হিন্দি ভাষার সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ক্রমাগত সম্প্রসারিত হয়েছে। এতে কি প্রতীয়মান হয় না পশ্চিম বাংলার বাঙালিদের মাতৃভাষার প্রতি অবজ্ঞা থেকে আমরাও পিছিয়ে আছি? না মোটেও তা-নেই। পশ্চিম বাংলার ভাগ্যবরণ আমাদের করতে হবে না, এটা সত্য। তবে সাংস্কৃতিকভাবে আমাদের যে পশ্চাৎগমন ঘটছে এবং ঘটবে সেটা তো অসত্য নয়। কলকাতা এবং ঢাকার দূরবর্তিতা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে নিকটবর্তিতাও। দুই বাংলার ভাষা-সংস্কৃতির মিল তো রয়েছেই। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নিম্নগামিতা দেখা যাচ্ছে দুই বাংলাতেও। আর রাজনীতি? সেটা তো অভিন্নই হয়ে পড়েছে, প্রদেশ পশ্চিম বাংলা ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মধ্যে। এ যেন হরিহর আত্মা। পশ্চিম বাংলার শাসক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চক্রবর্তী এবং বীরভূম জেলার রাজ্য সভাপতি মাফিয়া ডন অনুব্রত মণ্ডলদের সম্প্রতি গ্রেপ্তার করেছে ইডি। পার্থ বাবুর বাড়ি তল্লাশি করে ইডি পেয়েছে নগদ ৫০ কোটি রুপি, প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা এবং অজস্র স্বর্ণালঙ্কার। অনুব্রত মণ্ডলের কাছে আয়বহির্ভূত অবৈধ ১৬ কোটি রূপি অর্থ উদ্ধার। দুজনেই এখন কারাগারে। জানা যায় বীরভূমের সন্ত্রাসের গডফাদার অষ্টম শ্রেণি পাস, সাবেক মাছ বিক্রেতা অনুব্রত মণ্ডর। যিনি বিরোধীদের ঠেঙানোতে পারদর্শী। বীরভূমের শ্বেত সন্ত্রাসে খ্যাত তিনি। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনীতিতে জড়িয়ে অবৈধ অর্থ আর স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির মালিক হয়েছেন রাতারাতি। তৃণমূলের মন্ত্রী, নেতা, কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত প্রধানরা ক্ষমতার বলয়ে অগণিত অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন। বিষয়টি যদি আমাদের দেশের দিকে ফোকাস করি তাহলে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাব কি? নিশ্চয় নয়। দুই পৃথক রাষ্ট্র হলেও রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক কোনো পার্থক্য নেই। গণতন্ত্র নামক সোনার হরিণ লোপাট হয়ে গেছে ভারত রাষ্ট্রে যেমন, অনুরূপ বাংলাদেশেও। তাই ঢাকা এবং কলকাতা ভৌগোলিকভাবে দূরবর্তী হলেও বহুক্ষেত্রেই নিকটবর্তী।

মযহারুল ইসলাম বাবলা : নির্বাহী সম্পাদক, নতুন দিগন্ত। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App