×

সারাদেশ

টেবিলে আছড়ে ট্রফি ভাঙলেন ইউএনও

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:৩৩ পিএম

টেবিলে আছড়ে ট্রফি ভাঙলেন ইউএনও

ফাইল ছবি

টেবিলে আছড়ে ট্রফি ভাঙলেন ইউএনও

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের আলীকদমে ফুটবল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের মধ্যে ট্রফি বিতরণ না করে টেবিলে আছড়ে ভেঙে ফেলায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম। ট্রফি ভাঙার প্রতিবাদে ইউএনওর প্রত্যাহার চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আলীকদমে এ বিক্ষোভ করেন তারা। এর আগে শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চৈক্ষ্যং আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ট্রফি ভাঙার ঘটনা ঘটে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ইউএনওকে নিয়ে দেশ জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে আবাসিক যুব স্বাধীন সমাজ ক্লাব। গতকাল (শুক্রবার) ছিল ফাইনাল খেলা। এতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম।

খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণের আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম বলেন, ‘আপনারা যত দিন পর্যন্ত সহনশীল না হতে পারবেন, তত দিন ট্রফিগুলো আমানত হিসেবে থাকবে। আরেকটি ম্যাচ হলে তারপর দেব।’

এ সময় ইউএনওর বক্তব্যের জবাবে উপস্থিত সবাই ‘না না’ বলতে থাকেন। এরপর ‘যদি ট্রফি না থাকত, আমরা খেলতাম না? ...আমি ট্রফিটা ভেঙে এখন খেলা শুরু করব’ বলেই ট্রফি দুটি আছড়ে ভেঙে ফেলেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে টুর্নামেন্টের আয়োজক আবাসিক যুব স্বাধীন সমাজ ক্লাবের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ফাইনাল খেলায় আবাসিক জুনিয়র একাদশ বনাম রেফারফাড়ি বাজার একাদশের খেলা ড্র হয়েছিল। পরে টাইব্রেকারে আবাসিক জুনিয়র একাদশ বিজয়ী হয়। কিন্তু রেফারফাড়ি বাজার একাদশ এতে আপত্তি জানায়। পরে রেফারি, খেলোয়াড়সহ সবাই মিলে বিষয়টির মীমাংসা করেন। আর কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু ট্রফি বিতরণের সময় প্রধান অতিথি এভাবে ট্রফি ভেঙে ফেলবেন, সেটি তারা কল্পনাও করেননি।

তবে চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন বলেন, খেলায় বিজয়ী দল ঘোষণার সময় দুই পক্ষের মধ্যে বিতর্ক হয়েছিল। ইউএনও মনে করেছিলেন, ট্রফি বিতরণ করলে দুই পক্ষের অসন্তোষ থেকে যাবে। এ জন্য বিতরণ না করে ভেঙে ফেলেছেন।

অন্যদিকে, আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম তার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ইউএনও মেহরুবা ইসলাম আলীকদমের জনগণকে অসম্মান করেছেন। তাকে আলীকদম থেকে প্রত্যাহারের দাবিও জানান তিনি।

ট্রফি বিতরণ না করে ভেঙে ফেলার বিষয়ে কথা বলতে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এ ব্যাপারে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। এ রকম আচরণ করার কথা নয়। বিতর্ক থাকলে ট্রফি না ভেঙে নিজের হেফাজতে রেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারতেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App