×

জাতীয়

সংশোধিত শ্রম বিধিমালা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৪৯ এএম

সংশোধিত শ্রম বিধিমালা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫ এর সংশোধনী শ্রম আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই বিধিমালায় শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ভাষ্য, বিধি তৈরি হয় আইনের ওপর ভিত্তি করে। বিদ্যমান আইনে যে সুযোগ-সুবিধা থাকে, সংশোধিত বিধিতে তা কমানোর নিয়ম নেই। কিন্তু সম্প্রতি সংশোধিত বিধিমালায় সেই নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি। বিশেষত মাতৃত্বকালীন ছুটি ও চিকিৎসাবিষয়ক সংশোধনীগুলো মানবাধিকার ক্ষুণ্ন করেছে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সলিডারিটি সেন্টার, বাংলাদেশের আয়োজনে বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫ এর সংশোধনী শীর্ষক একটি পর্যালোচনায় সভায় বক্তারা এই মতামত দেন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি প্রোগ্রাম পরিচালক মনিকা হার্টসেল। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গত ১ সেপ্টেম্বর একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫ এর সংশোধন করে ১০১টি সংশোধন ও সংযোজন এনেছে। সভায় সলিডারিটি সেন্টারের প্রোগ্রাম অফিসার নজরুল ইসলাম শ্রম বিধিমালা সংশোধনীর ওপর একটি পর্যালোচনা তুলে ধরেন।

পর্যালোচনায় বলা হয়, প্রসূতিকল্যাণ সুবিধা এবং মহিলাদের প্রতি আচরণ- মহিলা শ্রমিকদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই দুটি বিষয়ে এ বিধিমালায় সংযোজিত বিধিবিধানের কারণে মহিলা শ্রমিকদের স্বার্থ বিঘিœত হবে। একজন নারী শ্রমিক প্রসূতিকল্যাণ সুবিধা আগের চেয়ে প্রায় ৬.৫০ শতাংশ কম টাকা পাবেন। অন্যদিকে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে দুজন বহিরাগত বিশেষজ্ঞসহ ৫ সদস্যের কমিটি গঠন বিষয়ে হাইকোর্টের যে নির্দেশনা আছে, তার স্পষ্ট উল্লেখ নেই এই বিধিমালায়। এ ছাড়াও, ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াকে বিধিমালায় বিধিবিধান সংযোজনের মাধ্যমে সহজ করার সুযোগ থাকলেও তা করা হয়নি। শ্রম আদালতের বিচার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার কোনো বিধিবিধান এতে যুক্ত করা হয়নি। আলোচনায় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল বলেন, এই সংশোধিত শ্রম বিধিমালায় শ্রমিকদের অধিকারের ও দাবির প্রতিফলন ঘটেনি। অনেক বিষয়েই শ্রমিক-মালিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সুপারিশ করা হলেও তা আমলে আনা হয়নি। এই সংশোধনীতে কোনো পক্ষ উপকৃত হলো তা বলা কঠিন।

ফাউন্ডেশন ফর ল’ এন্ড ডেভেলপমেন্টের সভাপতি ফৌজিয়া করিম বলেন, চিকিৎসা বিষয়ে রাতের শিফটে ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসক থাকার বিধান করা হয়েছে। বেশির ভাগ মানুষ রাতেই বেশি অসুস্থ হয়। জরুরি অবস্থায় রাতে হাসপাতাল ও দক্ষ চিকিৎসক পাওয়া দুরূহ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউিট অব লেবার স্টাডিজের পরিচালক নাজমা ইয়াসমিন বলেন, বিদ্যমান আইনের সুরক্ষা না দিয়ে তাতে অন্তর্ভুক্ত সুবিধাসমূহ এই বিধিমালার মাধ্যমে কর্তন করা হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App