×

মুক্তচিন্তা

যানজট নিরসনে গুরুত্ব দিন

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৩১ এএম

যানজট নিরসনে গুরুত্ব দিন

নানামুখী সমস্যার কারণে মানুষের স্রোত আর অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি রাজধানীতে যানজটের সৃষ্টি করছে। রাজধানীবাসীর কাছে যানজট একটি মূর্তিমান আতঙ্ক। প্রতিদিনের অসহ্য যানজটের কারণে স্থবির হয়ে পড়ে মানুষের জীবন ও জীবিকা। হুমকিতে পড়ে বেঁচে থাকার চিন্তা। তেমনিভাবে চাকরি, বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা কিংবা অবরোধ, হরতালের দিনে রাজধানীর প্রায় প্রতিটি সড়কে দেখা যায় তীব্র যানজট। জীবনাচরণ হয়ে পড়ে স্থবির, মানুষ হয়ে ওঠে নাকাল। পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাব অনুযায়ী ঢাকা শহরে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ ৭৩ হাজার ১৬০টি। তার মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৫২ হাজার ৬৭৪টি। যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা প্রায় ৩৯ হাজার ৭৮২টি। এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ঢাকা শহরে চলাচলকৃত ৫০ শতাংশ ব্যক্তিগত যানবাহন। আর এই ৫০ শতাংশ গাড়ি বহন করে মাত্র ১২ শতাংশ যাত্রী। কিন্তু বাকি ৫০ শতাংশ গাড়ি বহন করে ৮৮ শতাংশ যাত্রী। রাজধানীজুড়ে অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর ও হাটবাজার গড়ে উঠছে, যার ফলে রাস্তাঘাট সরু হয়ে যাওয়ার ফলে যানজট বাড়ছে দুর্ঘটনা ঘটছে। তাতে নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঝরছে তাজা প্রাণ। তাছাড়া সড়কে একদিকে ধীরগতির রিকশা, ভ্যান ও অন্যদিকে দ্রুতগতিসম্পন্ন গাড়ি ও বাস-ট্রাকের যাতায়াতের ফলে গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে, যার ফলে ঘটে দুর্ঘটনা আর দুর্ঘটনার পর দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় শুরু হয় তীব্র যানজট। মোটকথা এক বেসামাল অবস্থার সৃষ্টি হয় যানজটে। তাছাড়া যানবাহন চলাচলে ট্রাফিক নিয়ম অমান্য করার ফলে যানজটের ঘটনা নিয়মিতই রয়ে গেছে বছরের পর বছর। ঢাকার রাস্তায় যানবাহন বৃদ্ধির সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিনিয়ত বেড়ে যাচ্ছে যানজট। নগরীতে সাধারণ মানুষের জন্য একমাত্র ভরসা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট। প্রতিটি বাসে প্রায় ৫০-৬০ জন মানুষের ধারণক্ষমতা রয়েছে। চলমান মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে রাজধানীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোর যোগাযোগ স্থাপিত হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তবে ধীরগতি ও দ্রুতগতিসম্পন্ন যানের ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। তা নিয়ে কাজ করতে হবে। যানজট সমস্যার সমাধান করতে পারলেই রক্ষা পাবে জনগণ। এর ফলে আর নষ্ট হবে না রাজধানীতে বসবাসরত মানুষের কর্মঘণ্টা।

মিজানুর রহমান মিজান : শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App