×

জাতীয়

পাহাড়ি জাতিসত্তাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০৯ এএম

পাহাড়ি জাতিসত্তাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জাতিসত্তাসমূহকে জাতি হিসেবে এখনো স্বীকৃতি দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। গতকাল বুধবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হল রুমে লামা সরই ভূমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে ‘লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ ও আমাদের ভূমি রক্ষার লড়াই’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ অভিযোগ করেন। বৈঠকে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের অবৈধ লিজ বাতিল ও ৪০০ একর জুম ভূমি রক্ষার দাবি জানানো হয়।

সংগঠনের আহ্বায়ক রংধজন ত্রিপুরার সভাপতিত্বে ও মথি ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বৈঠকে আরো অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মেঘনা গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সভাপতি হাসিবুর রহমান প্রমুখ। সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এইচএসসি পরীক্ষার্থী যোহন ম্রো।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জাতিসত্তাসমূহকে এখনো জাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। তাদের ওপরে নিপীড়ন নির্যাতন, সম্পত্তি-জমি বেদখল করার জন্য পুরো অঞ্চলে সামরিকায়ন করা হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে তাদের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। পাহাড়ের পর পাহাড় সামরিক, বেসামরিক, আমলা ও কর্মকর্তারা নামে-বেনামে হাজার হাজার ভূমি দখল করে আছে।

তিনি বলেন, রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ শর্ত লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে দখল করে আছে। কিন্তু সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নীরবতা পালন করছে। আমরা এই ঘটনায় রাবার ইন্ডাস্ট্রিজকে দায়ী করছি। এর সঙ্গে জড়িতদের জনগণের আদালতে এনে বিচার করতে হবে।

আলোচকরা বলেন, গত ২৬ এপ্রিল লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ যে জুম ভূমি পুড়িয়ে দেয় সেখানে পুরো প্রাকৃতিক বন ধ্বংস হয়ে যায়, বহু জীবের প্রাণ সংহার হয় এবং ছড়া ও ঝর্ণার পানি বিষাক্ত হয়। বর্তমানে এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি পাওয়া অত্যন্ত দুষ্কর হয়ে পড়েছে। তিন পাড়াবাসী এখন গ্রেপ্তার, হামলা ও উচ্ছেদের আতঙ্কে রয়েছে।

বৈঠকে আলোচকরা কয়েকটি দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। এর মধ্যে রয়েছে- লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃক ভূমি বেদখল বন্ধ করা, ম্রো ও ত্রিপুরাদের ভোগদখলীয় ৪০০ একর জুম ভূমিসহ কোম্পানি কর্তৃক বেদখলকৃত সব জমি ফিরিয়ে দেয়া, ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ম্রো ও ত্রিপুরাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেয়া, রংধজন ত্রিপুরার উপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দেয়া। ভূমি রক্ষা কমিটির নেতারা ও গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা এবং পর্যটন উন্নয়নের উদ্দেশে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে দেয়া সব জমির লিজ বাতিল করা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App