×

জাতীয়

ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যকে ১২ বছরের কারাদণ্ড

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:২৯ পিএম

ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যকে ১২ বছরের কারাদণ্ড

কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের বহিস্কৃত সাত সদস্যকে দুই ধারায় সাত ও পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত

ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যকে ১২ বছরের কারাদণ্ড
ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যকে ১২ বছরের কারাদণ্ড
ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যকে ১২ বছরের কারাদণ্ড

টেকনাফে ব্যবসায়ী অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ে দায়ের করা মামলায় কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের বহিস্কৃত সাত সদস্যকে দুই ধারায় সাত ও পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার সময় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান ও আবুল কালাম আজাদ, এএসআই ফিরোজ, গোলাম মোস্তফা ও আলাউদ্দিন এবং দুই কনস্টেবল আল আমিন ও মোস্তফা আজম।

এক ধারায় পাঁচ বছর, আরেক ধারায় সাত বছর কারাদণ্ড দিলেও উভয় সাজা একসঙ্গে কার্যকর হয়ে সাত বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাদের। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন। ৩৬৫ ধারায় পাঁচ বছর এবং ৩৮৬ ধারায় সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। উভয় সাজা একসঙ্গে ভোগ করতে হবে। ফলে সাজা সাত বছর বলে গণ্য হবে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রায় ঘোষণার সময় সব আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার শহরের থানার পেছনের রোড থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদাপোশাকধারী ব্যক্তিরা টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এরপর ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাঁর স্বজনদের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দেনদরবারের পর ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় পরিবার। টাকা পৌঁছে দেওয়া হলে পরদিন ভোররাতে আবদুল গফুরকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি গফুরের স্বজনেরা সেনাবাহিনীর নিরাপত্তাচৌকির কর্মকর্তাকে জানান। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য সেনাবাহিনীর এই নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করা হয়েছিল। মুক্তিপণ আদায়কারী ডিবি পুলিশের সদস্যরা মাইক্রোবাসে মেরিন ড্রাইভ সড়কে চৌকির সেনাসদস্যরা মাইক্রোবাস তল্লাশি করে তাতে ১৭ লাখ টাকা পান। এ সময় ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান দৌড়ে পালিয়ে গেলেও বাকি ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেন সেনাসদস্যরা।

এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল গফুর বাদি হয়ে ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান ও আবুল কালাম আজাদ, এএসআই ফিরোজ, গোলাম মোস্তফা ও আলাউদ্দিন এবং দুই কনস্টেবল আল আমিন ও মোস্তফা আজমকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার প্রায় ১০ মাস ২০১৮ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ডিবির সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিপি ফরিদুল আলম জানান, মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজকে রায় দিলেন আদালত। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

উল্লেখ্য, এ ঘটনার পর গ্রেপ্তারের পর ডিবির সাত সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি ডিবির সাত পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশও করে। বিভাগীয় মামলার কার্যক্রমটি এখনো চলমান রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App