×

জাতীয়

জুয়াড়িদের ধরতে এক বছর সময় লাগে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৫৯ পিএম

জুয়াড়িদের ধরতে এক বছর সময় লাগে

বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। ফাইল ছবি

জুয়াড়িদের ধরে শাস্তি দিতে ছয় মাস থেকে এক বছর সময় লাগে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।

গতকাল শনিবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তি?নি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলের চেয়ারম্যান ও সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, ড. এম খায়রুল হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (ইডি) ড. মো. এজাজুল ইসলামসহ অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, আইসিএবি, আইসিএমএবি, আইসিএসবির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, একজন জুয়াড়ি ধরতে ৬ মাস থেকে এক বছর সময় লাগে। আমরা তখন ধরতে পারি, যখন স্টক এক্সচেঞ্জ তদন্ত রিপোর্ট দ্রুত দেয়। তারপর নিয়ম অনুসারে তথ্য প্রমাণ যাচাই-বাছাই করে শাস্তি দিতে ৬ মাস থেকে এক বছর সময় লেগে যায়। ততক্ষণে বিনিয়োগকারী ও বাজারের যা ক্ষতি করার তা করে ফেলে। গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যখনি আপনারা কারসাজির কোনো তথ্য পান, তখন দ্রুত লিখে দেবেন। বিনিয়োগকারীদের সচেতন করবেন।

অনুষ্ঠানে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কত টাকা ট্যাক্স দেয় এটা সবাই জানে। কারণ তারা পুঁজিবাজারে তা?লিকাভুক্ত। তাদের আ?র্থিক প্র?তিবেদন প্রকাশ ক?রতে হয়। কিন্তু ইউনিলিভার ও নেসলে বাংলাদেশে দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছে। তারা কত টাকা ট্যাক্স দেয় তা কেউ জানে না। কারণ তারা তা?লিকাভুক্ত নয়। ইউনিলিভারের সাবান লাক্স, নেসলের নুডলুস কিন?ছি, তারা ব্যবসা করে নিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের মালিকানা দিচ্ছে না। তারা কেন তা?লিকাভুক্ত হচ্ছে না। আমরা যখন বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের দিকে দে?খি তখন টপ টেনে (শীর্ষ ১০) ইউনিলিভার ও নেসলে থাকে। তাহলে আমাদের এখানে নেই কেন? ১৭ কোটি মানুষকে কি তারা মূর্খ মনে করে?

তিনি আরো বলেন, কতগুলো জাঙ্ক ও সিক (রুগ্ন) কোম্পানি দিয়ে শেয়ারবাজার চালানো হচ্ছে। আমাদের বাজারে হতাশা ও আশা দুদিকই আছে। এই বাজারে ভালো কোম্পানি আনা দরকার হলেও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ব্যবধান কমিয়ে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকার সঠিক পলিসি নেয়নি। এনবিআরের মোট ট্যাক্সের ৮০ শতাংশ আসে তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে। সুতরাং এনবিআরের প্রচেষ্টা থাকা উচিত বেশি কোম্পানি পুঁজিবাজারে আনা। কোম্পানি কখন লিস্টিংয়ে আসবে? যখন তাদের লাভ হবে। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারীদের কনফিডেন্স কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর দায়ভর বিএসইসিরও আছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হিসেবে বোনাস দেয়া ও সময় বৃদ্ধি রয়েছে। আইপিওতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মতো বড় বিনিয়োগকারীদের কোটা সুবিধা দেয়া দরকার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App