×

অর্থনীতি

ফের অস্থির চালের বাজার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০৩ এএম

ফের অস্থির চালের বাজার

ফাইল ছবি

ডিম-মুরগি-সবজির দাম চড়া

চালের বাজার ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম বেড়েছে অন্তত ১০০ টাকা। এর প্রভাবে খুচরায় প্রতিকেজি চাল ২ থেকে ৩ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ডিম, মুরগি, সবজি, ডালসহ নিত্যপণ্যের দামও চড়া। বাজারের এমন পরিস্থিতিতে অনেকটা অসহায় নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ।

সম্প্রতি অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার চালের ওপর আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। এরপর জ্বালানি তেলের দামও এক দফা কমিয়েছে। তবুও কমার পরিবর্তে উল্টো বেড়েই চলেছে চালের দাম। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত চাল রপ্তানিতে শুল্ক বসিয়েছে। এতে চালের আমদানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ কারণে দেশের বাজারে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

পাহাড়তলী পাইকারি চালের বাজারে বস্তাপ্রতি চালে ১শ টাকা বেড়ে মিনিকেট ৩ হাজার ৫০০, বিআর-২৮ জাতের চাল ২ হাজার ৭০০, স্বর্ণা ২ হাজার ৬০০, নাজিরশাইল ৩ হাজার ৭০০, পাইজাম ২ হাজার ৭০০ ও মোটা আতপ ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে খুচরা বাজারে মোটা চালের কেজি (স্বর্ণা ও লতা) ৩ টাকা বেড়ে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা, কেজিতে দুই টাকা বেড়ে বিআর-২৮ জাতের চাল ৫৫ থেকে ৬০ এবং চিকন চাল (মিনিকেট) ৭৪ থেকে ৭৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া নাজিরশাইল কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন বলেন, সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে গত দুই সপ্তাহ ধরে কমতে শুরু করেছিল চালের বাজার। কিন্তু ভারত আতপ চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্কারোপ করলে মিলাররা সব ধরনের চালের দাম প্রতি বস্তায় ১০০ টাকা বাড়িয়ে দেন। আমাদের সেই বাড়তি দামে চাল কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই পাইকারি বাজারে চালের দাম ফের বেড়েছে। এর প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়েছে।

এদিকে ডিমের ডজন ও মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া সবজি-মাছের দামেও মিলছে না স্বস্তি। মাছের দামও আকাশচুম্বি। গতকাল শুক্রবার নগরের বহদ্দারহাট বাজার ও চকবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারগুলোতে ৫০-৬০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি। বাজারে প্রতিকেজি গোল বেগুন ৮০, লম্বা বেগুন ৬০, হাইব্রিড শসা ৮০, কাঁকরোল ৭০, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা ও বাঁধাকপি ৫০, শিম-টমেটো ১২০, কচুরমুখি ৫০, বরবটি ৭০ টাকা, পটল ৪০, লাউ ৬০, চালকুমড়া ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শিম ও টমেটো ১২০ টাকায় আর ছোট আকারের ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া মাছের বাজারে বড় সাইজের ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়, ছোট সাইজের ইলিশ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়ে গতকাল। প্রতিকেজি রুই মাছ ৩২০, পাবদা মাছ ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০, শিং মাছ ৩৫০, পাঙ্গাশ মাছ ১৬০, কই মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App