×

আন্তর্জাতিক

যুবরাজ সালমানকে আমন্ত্রণ ঘিরে সমালোচনার ঝড়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৫২ পিএম

যুবরাজ সালমানকে আমন্ত্রণ ঘিরে সমালোচনার ঝড়

ছবি: রয়টার্স

ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা।

মানবাধিকার প্রশ্নে সৌদি আরব এবং যুবরাজ মোহাম্মদকে অনেকদিন ধরেই ‘একঘরে’ করে রেখেছে পশ্চিমা বিশ্ব।

বিশেষ করে ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের দূতাবাসে সাংবাদিক জামাল খাশুগজিকে হত্যার পর। সিআইএর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, যুবরাজ মোহাম্মদের নির্দেশেই খাশুগজিকে হত্যা এবং তার মৃতদেহ গায়েব করে দেয়া হয়। যদিও সৌদি আরব সরকার এবং যুবরাজ মোহাম্মদ উভয়ই খাশুগজি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

একসময় সৌদি আরবের রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠজন থেকে রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক হয়ে ওঠার কারণেই হয়তো খাশুগজিকে জীবন দিতে হয়েছে। খাশুগজি হত্যাকাণ্ডের পর আর যুক্তরাজ্য যাননি যুবরাজ মোহাম্মদ।

তিনি এই সপ্তাহান্তে লন্ডন যাচ্ছেন বলে বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে সৌদি দূতাবাস। তবে তিনি রানির মূল অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কিনা তা নিশ্চিত করা হয়নি। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে।

যুবরাজ মোহাম্মদের লন্ডন যাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে খাশুগজির বাগদত্তা ‍হাতিজে চেঙ্গিস বলেন, ‘‘তাকে( যুবরাজ মোহাম্মদ) আমন্ত্রণ জানানো রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্মরণে করা অনুষ্ঠানের জন্য একটি কলঙ্ক।’’

হাতিজে বরং যুবরাজ মোহাম্মদ লন্ডনে নামার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করার আহ্বান জানিয়েছেন। সঙ্গে এও বলেছেন, ‘‘কিন্তু আমি জানি এমনটা ঘটবে না।”

সৌদি আরব এবং পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর বাদশাহদের রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় আমন্ত্রণ জানানোর তীব্র সমালোচনা করে কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন থেকে বলা হয়, এর মাধ্যমে তারা তাদের মানবাধিকার বিষয়ক রেকর্ড ‘ধুয়ে সাফ করার’ সুযোগ পেয়ে যাবে।

মানবাধিকার প্রশ্নে সৌদি আরবের রেকর্ড যত খারাপই হোক না কেনো বা মানবাধিকারকর্মীরা সে দেশ ও যুবরাজ মোহাম্মদকে নিয়ে যত আপত্তিই তুলুক, পারস্য উপসাগরে যুক্তরাজ্যের নির্ভরযোগ্য মিত্র হয়ে আছে সৌদি আরব।

এছাড়া, পশ্চিমারা মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বিস্তারের পথে সৌদি আরবকে একটি বড় প্রতিরোধক বলে মনে করে।

আর্থিক নানা কারণেও সৌদি আরবকে তাদের আমলে নিতে হয়। সৌদি আরব পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্র কেনে। পশ্চিমা অনেক বিশেষজ্ঞকে উচ্চ বেতনে উচ্চ পদে নিয়োগ দিয়ে রেখেছে সৌদি আরব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App