×

জাতীয়

মেঘনা নদীতে ডাকাতি, নিখোঁজ ২

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৪০ এএম

মেঘনা নদীতে ডাকাতি, নিখোঁজ ২

প্রতীকী ছবি

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনায় জেলেদের মাছ শিকারের দুটি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে চারজন জেলে গুরুতর আহত হয়েছেন। পাশাপাশি, দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছে। কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহত ৪ জেলে। অপরদিকে, নিখোঁজ দুই জেলেকে উদ্ধারে নদীতে একাধিক নৌকা ও মাইক দিয়ে প্রচার করছেন পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক আটটার সময় কমলনগরের মাতব্বরহাট মাছ ঘাট বরাবর ডুবোচরের পূর্ব পাশে এই ঘটনা ঘটে।

এর আগে গত বুধবার রাতে আরোও একটি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় স্থানীয়রা। ওই ট্রলারের আহত আমজাদ হোসেন (৪৫) নিরব (২৭) হাসপাতালে চিকিৎসারত রয়েছেন।

পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধায় মেঘনা নদীর মাতব্বরহাট ডুবোচর এলাকায় মাছ আহরনরত জেলেদের দুটি ট্রলারে হামলা করে সশস্ত্র ডাকাত দল। মাতাব্বরহাট ঘাটের দেলোয়ার হোসেন প্রকাশ (দেলু মাঝি) ও বশির মাঝি’র মাছ শিকারের ট্রলারে হানা দেয় তারা। এ সময় ডাকাতরা লুট করে নিয়ে যায় মাছ, জাল, নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন। এতে দুই ট্রলারের প্রায় সাত লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীদের পরিবার।

এ সময় ডাকাতরা কমলনগরের সাহেবেরহাট ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা মিরাজ হোসেন (২২) জিহাদ হোসেন (২০) আলামিন (১৯) জাহিদকে (১৭) পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

পাতাবুনিয়া এলাকার সিরাজের পুত্র হাসান (১২), চরজগবন্ধু এলাকার করিম আলী বয়াতির পুত্র নজু বয়াতিকে (৫০) পিটিয়ে নদীতে ফেলে দেয়। তারা দুজন এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে।

আহত জেলে আমজাদ হোসেন বলেন, ডাকাতরা প্রথমে জিজ্ঞেসা করে মাছ কোন বাকশায়( আড়ৎদার) বিক্রি করছ!। জবাবে মাছ চেয়ারম্যানের বাকশায় বিক্রি করি জানালে এলোপাতাড়ি ভাবে মারতে থাকে। ডাকাতরা বগি দ্যা দিয়ে কোপ দিলে হাটুতে মারাত্মক জখম হয় তার। পরে জনৈক জিহাদের বাকশায় মাছ বিক্রি করার জন্য জানায় ডাকাত দল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বজন বলেন, মেঘনায় হঠাৎ ডাকাতি শুরু হয়েছে। এতোদিন এমন ঘটনা ছিল না। ডাকাতরা জিহাদের বাকশায় মাছ বিক্রি করার হুমকি দিয়েছে মানে এটা স্পষ্ট যে কোন একটি মহলের ঈন্ধনে এমনটি ঘটেছে।

এ বিষয়ে মাতাব্বরহাট মাছ ঘাটের এক আড়ৎদার বলেন,ডাকাতরা তাদের ডাকাতির কৌশল হিসেবে একেক সময় একেক আড়ৎদারের নাম বলে একটা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আমার বিষয়ে এটা বিরাট অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান বলেন, ডাকাতির ঘটনাটি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গৃহীত হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App