তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ, বাংলাদেশি যুবকের পা বিচ্ছিন্ন
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:৩১ পিএম
তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি যুবক গুরুতর আহত।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার ভূখণ্ডে মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছে বাংলাদেশি এক যুবক।
আজ শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পৌনে ৩টার দিকে মিয়ানমার সীমান্তের জিরোলাইন ঘেঁষে ৩৫ নং পিলারের কাছাকাছি গেলে হঠাৎ মাইন বিস্ফোরণে অথোয়াইং তংচঞ্চগ্য (২২) গুরুতর আহত হয়। সে তুমব্রু হেডম্যান পাড়ার অংক্যথাইন তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে।
আহত যুবককে প্রথমে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে প্রথমিক চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে বেশি গুরুতর আঘাত হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়।
স্থানিয়রা জানান, মিয়ানমার সীমান্তে জিরোলাইনের ৩৫ নং পিলার কাছাকাছি চোরাই পথে গরু আনতে গেলে হঠাৎ মাইন বিস্ফোরণে অথোয়াইং তংচঞ্চ্যা নামে যুবকের পা উড়ে যায়। ওই ঘটনায় এলাকায় একটি গরুও মারা যায় বলেও জানান তারা ।
এ ঘটনার পর সীমান্তে লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস জানিয়েছেন, সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনী টহল উদ্ধার করেছে এবং স্থানীয়দের সীমান্ত এলাকায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এদিকে, বিজিবি লোকজনদের সীমান্তের আশপাশে যেতে দিচ্ছে না। এ ঘটনার পর সীমান্তে বিজিবি টহল ও নজরদারি বেড়ে দিয়েছে।
পুলিশ জানায়, দুপুরে অথোয়াইং তংচঞ্চগ্য ও অপর এক যুবক জিরো লাইনের কাঁটাতারের বেড়া এলাকায় যায়। সেখানে হঠাৎ মাইন বিস্ফোরণে অথোয়াইং তংচঞ্চগ্য এর বাম পা উড়ে যায়। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতাল পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। গুরুতর আহত হওয়ার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে জানা যায় ।
টহলরত অবস্থায় বিজিবি জোয়ানেরা জানান, কি কারণে ওই দুই যুবক বিজিবির নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও জিরো লাইনে গিয়েছিল তা এখনো জানা যায়নি। তবে ধারনা করা হচ্ছে, মায়ানমারের সেনাবাহিনী অথবা বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মি সীমান্তে এসব মাইন পুঁতে রেখেছে।
উল্লখ্য, গত এক মাসের বেশি সময় ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি মায়ানমার সীমান্তে সেদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সাথে সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বিজিপির মধ্যে লড়াইকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি মর্টার শেল ও গুলি এসে পড়েছে বাংলাদেশের ভেতর। সীমান্তে সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।