বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে আবারও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটার সময় মিয়ানমার থেকে আকস্মিক এই গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসে।

সূত্র বলছে, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ঘুমধুম সীমান্তে গোলাগুলি চলছে। মর্টার সেলসহ ভারী অস্ত্রের গোলাবারুদের শব্দে নির্ঘুম রাত কাটছে স্থানীয় বাংলাদেশিদের। ওপারে গোলাগুলির কারণে এপারে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর দফায় দফায় মূল সংঘর্ষ চলছে। এর ফলে বাংলাদেশেও পড়ছে এই সংঘর্ষের প্রভাব।

থাইল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতির খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সে দেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সাথে দীর্ঘদিন ধরে সংঘর্ষ চলছে। সম্প্রতি সেই সংঘর্ষ আরো বেড়ে গেছে। উভয়পক্ষের হতাহতের খবরও প্রচার হচ্ছে গণমাধ্যমে।

তুমব্রু সীমান্ত এলাকার এক বাসিন্দার ভাষ্য, গোলাবারুদের শব্দে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারের উড়াউড়ির কারণে মানুষ সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকে। প্রায় সময় আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে যুদ্ধবিমানগুলো উড়তে দেখা যায়। গত ২৮ আগস্ট ও ৩ সেপ্টেম্বর দুই দফায় চারটি মর্টার সেল এসে পড়েছিল তুমব্রু উত্তরপাড়া ও বাইশফাঁড়ি এলাকায়।

আকস্মিক গোলাগুলির শব্দ প্রসঙ্গে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল চারটা থেকে রাত পৌনে আটটা পর্যন্ত একটানা গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। তবে আগে সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় গোলাগুলি হতে দেখা গেলেও আজ গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে সীমান্ত থেকে কিছুটা দূরের এলাকায়। মনে হচ্ছে তারা সীমান্ত থেকে সরে কিছুটা দূরে চলে গেছে।