নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সড়কে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার সময় জানাজা সম্পন্ন হয়। এর আগে শাহ মোয়াজ্জেমের মরদেহ বিএনপির পতাকা দিয়ে ঢাকা হয়। জানাজা ও বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামাদের আহ্বায়ক প্রিন্সিপাল শাহ নেছারুল হক। জানাজার শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয় দলের পক্ষ থেকে।

জানাজার আগে তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীরা তার বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করেন।

[caption id="attachment_368344" align="aligncenter" width="700"] বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের জানাজা শেষে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, বর্ণাঢ্য প্রবীণ রাজনীতিবিদ শাহ মোয়াজ্জেমকে হারিয়ে আমরা শোকাহত। তিনি একজন সংগ্রামী নেতা ছিলেন। ছাত্র জীবনে স্বাধিকার আন্দোলনে বিশাল ভূমিকা রেখেছেন তিনি। আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তার আন্দোলন প্রত্যক্ষ করেছি। তার বক্তৃতা শোনার জন্য ছাত্ররা দল বেধে যেত। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধে ও তার বিশাল ভূমিকা রয়েছে। ভারতীয় পার্লামেন্টে যে বক্তৃতা রেখেছেন তিনি তা ঐতিহাসিক ঘটনা। আমৃত্যু একজন দেশ প্রেমিক জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ ছিলেন তিনি। এ মুহূর্তে দেশের মানুষের অধিকার নেই, এই আন্দোলনের শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এর মতো সংগ্রামী নেতাকে আমাদের খুব প্রয়োজন। তার সংগ্রামকে অনুসরণ করে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবো।

স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতীয় পার্লামেন্টে দীর্ঘ সময় বক্তৃতা দিয়েই ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন।

জানাজায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান জানাজায় অংশ নেন।

এছাড়াও বিএনপি নেতাদের মধ্যে আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন,হাবিবুর রহমান হাবিব, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী,আমিনুল হক, এবিএম মোশাররফ হোসেন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।