×

সারাদেশ

ডিমলায় কোচিং বাণিজ্যের তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে মারধর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:০০ পিএম

ডিমলায় কোচিং বাণিজ্যের তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে মারধর

ডিমলায় সংবাদ সংগ্রহের সময় হামলায় আহত এক সাংবাদিক। ছবি: ভোরের কাগজ

নীলফামারীর ডিমলায় ঝুনাগাছ চাপানী দুদিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক স্বদেশ চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে স্থানীয় দুই সাংবাদিককে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানীর ইউনিয়নের চাপানি বাজারের পাশে ওই শিক্ষকের কোচিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার সাংবাদিক মামুন অর রশিদ বাদী হয়ে গতকাল বুধবার রাতে ডিমলা থানায় শিক্ষক স্বদেশ চন্দ্র রায়ের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা চলাকালীন সকল প্রকার কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর ১ দিনে আগেও নিজ বাড়িতে কোচিং সেন্টার খোলা রেখে পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন স্বদেশ চন্দ্র।

এ বিষয়ে বুধবার (১৪সেপ্টেম্বর) বিকেলে সংবাদ সংগ্রহ করতে ওই কোচিং সেন্টারে গেলে স্বদেশ চন্দ্রের হামলার শিকার হন দৈনিক আলোকিত পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মামুন অর রশিদ ও দৈনিক একুশের বানী’র স্টাফ রিপোর্টার মশিয়ার রহমান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মামুন রশিদ বলেন, স্বদেশ চন্দ্রের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সরকারের নির্দেশনা না মেনে সেখানে এখনও কোচিং সেন্টার চলছে। এসময় কোচিং সেন্টারের ভেতরে প্রবেশ করলে প্রায় ৫০ জনের মতো শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা যায়। এদের মধ্যে এবছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীও রয়েছেন। কথা বলতে কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছে গেলে তারা কোনো কথা না বলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক স্বদেশ বলেন, কার অনুমতি নিয়ে এখানে এসেছেন? তিনি এ সময় দুর্ব্যবহার করেন। অতর্কিত হামলা করে আমাদের মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় ওই শিক্ষক।

মশিয়ার রহমান জানান, ক্যামেরা চলাকালে তাঁকে (মশিয়ার) ও তাঁর সহকর্মী মামুনকে মারধর করা হয়। ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে মারতে মারতে রাস্তায় বের করে দেয়া হয়। এ সময় ওই শিক্ষক সাংবাদিক সমাজের উদ্দেশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে জানতে শিক্ষক স্বদেশ চন্দ্রের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায় নি।

ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লাইছুর রহমান জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলমান।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, সরকারি আদেশ অমান্য ও সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ওই শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App