×

জাতীয়

প্রথম স্পেশালাইজড হাসপাতালের যাত্রা শুরু আজ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০০ এএম

প্রথম স্পেশালাইজড হাসপাতালের যাত্রা শুরু আজ

দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল

স্বপ্নের বীজটা রোপণ হয়েছিল ২০১৮ সালে। এরপর ধীরে ধীরে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে হতে পেয়েছে পুরো অবয়ব। আজ বুধবার সেই স্বপ্ন অর্থাৎ দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। সকালে ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন, স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা দেশেই মিলবে- এই স্বপ্ন নিয়েই ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশরীরে উপস্থিত হয়ে এই হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে হাসপাতাল নির্মাণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন। ১৩শ কোটি টাকা ব্যয়ে বিএসএমএমইউর অধীনে ৭৫০ বেডের এ হাসপাতালটি নির্মিত হয়। বিশেষায়িত এ হাসপাতালে থাকবে আধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ নানা সুবিধা। খরচও থাকবে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৩ তলাবিশিষ্ট হাসপাতালটির রয়েছে দ্বিতল বেজমেন্ট। হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে থাকবে ১৪টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, ১০০ বেডের আইসিইউ। জরুরি বিভাগেও থাকবে ১০০টি বেড। ভিভিআইপি কেবিন ৬টি, ভিআইপি কেবিন ২২টি এবং ডিল্যাক্স বেড থাকবে ২৫টি। এছাড়া সেন্টারভিত্তিক প্রতিটি ওয়ার্ডে বেড থাকবে ৮টি করে। হাসপাতালটিতে থাকবে এক্সরে, এমআরআই, সিটি-স্ক্যানসহ অত্যাধুনিক সব ডায়াগনস্টিক সুবিধা। লিভার প্রতিস্থাপন, কিডনি প্রতিস্থাপন, বোনম্যারো প্রতিস্থাপন, রোবোটিক অপারেশন, জিন থেরাপির ব্যবস্থাও থাকবে। রোগীর সেবায় নিয়োজিত থাকবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশাল এক বাহিনী। বিশেষজ্ঞসহ মোট ৩০০ চিকিৎসক ও ১২০০ স্বাস্থ্যকর্মী এই হাসপাতালে কাজ করার কথা রয়েছে। উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে ৮০ জন চিকিৎসকসহ মোট ১৪০ জন নার্স ও কর্মকর্তাকে বিদেশে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হচ্ছে। আরো একটি দল প্রশিক্ষণ নিতে যাবে। হাসপাতালে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের পাশাপাশি ২ বছরের জন্য ৫৬ জন কোরীয় কনসালট্যান্ট কাজ করবেন। তারা দেশীয় জনবলকে আরো দক্ষ করে তুলতে ভূমিকা রাখবেন।

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালকে ‘স্বাস্থ্য খাতের পদ্মা সেতু’ হিসেবে উল্লেখ করে অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এই হাসপাতাল চালু হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় একটি নতুন যুগের সূচনা হবে। দেশেই রোগীরা বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা পাবেন। চিকিৎসার প্রয়োজনে রোগীদের দেশের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। হাসপাতালের সর্বাধুনিক চিকিৎসা সেবা সাধারণ মানুষের নাগালে থাকবে কিনা-এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশেষায়িত এ হাসপাতালে কম খরচে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে। এখানে প্যাথলজি, রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফি বিএসএমএমইউ হাসপাতালের মতোই রাখা হবে। তবে একটা কিডনি বা লিভার যদি প্রতিস্থাপন করা হয় এর খরচ তো কিছুটা বেশিই। তবে করপোরেট হাসপাতালের মতো খরচ এখানে লাগবে না। আবার যেহেতু সুপার স্পেশালাইড তাই সাধারণ জেনারেল হাসপাতালের মতো খরচটা অত কম হবে না। খরচটা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই থাকবে। স্বল্প খরচেই উন্নত সব সেবা দেয়ার ব্যবস্থাই রাখা হয়েছে।

https://www.youtube.com/watch?v=BdGdGjXWSxU

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App