দুর্নীতির মামলায় এখনই ছাড়া পাচ্ছেন না শ্রীলঙ্কান অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ফের দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা কার্যালয়ে পৌঁছলেন অভিনেত্রী। ধারণা করা হচ্ছে, পিঙ্কি ইরানির সঙ্গে বসিয়ে জেরা করা হবে। জ্যাকলিন ও সুকেশের মধ্যে পরিচয়ের মধ্যস্থতা করেছিলেন মূলত এই পিঙ্কিই।

জ্যাকলিনকে আজ কী কী প্রশ্ন করা হবে, তার তালিকা আগেই করে রাখা হয়েছে। কতবার তিনি সুকেশের সঙ্গে মোট দেখা করেছেন, ঠিক কী কী উপহার পেয়েছেন অভিনেত্রীকে তার হিসাব দেখাতে হবে আজ বুধবার। এমনকি সম্পর্ক নিয়ে খুব অস্বস্তিকর পরিস্থিতিরও মুখোমুখিও হয়তো হতে পারেন জ্যাকলিন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

এমনকি জ্যাকলিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ক'দিন দিল্লিতে থাকতেও হতে পারে তাকে। কারণ পরপর জেরা করার হয়তো প্রয়োজন পড়বে। ২০০ কোটির আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, জ্যাকলিন জানতেন সুকেশ কী ধরনের কাজ করেন। তা সত্ত্বেও ইচ্ছে করে তা অগ্রাহ্য করেছিলেন। শুধু তিনি নন, তার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবরাও এ সম্পর্ক থেকে আর্থিক সুবিধে পেয়েছে। আর এর থেকেই বোঝা যায় এতটা পরিমাণ অর্থের ফলে সামনের মানুষটার অপরাধের ইতিহাসও এক্ষেত্রে সেভাবে কোনো প্রভাব ফেলেনি।

ইডি অভিযোগ করেছে, এখনও সত্যি লুকিয়ে রাখছেন জ্যকলিন। বারবার নিজের বক্তব্য বদল করছেন। এমনকী, প্রমাণের কারচুপি করার অভিযোগও উঠেছে জ্যাকলিনের নামে। জ্যাকলিন নিজের ফোন থেকে সব ডেটা মুছে ফেলেছে সুকেশ চন্দ্রশেখর গ্রেপ্তার হওয়ার পর। নিজেও প্রমাণ নিয়ে নয়-ছয় করেছেন , নিজের সহকর্মীদেরও তা করতে বলেছেন।

প্রসঙ্গত, প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল জ্যাকলিনের। একাধিকবার তারা দেখা করেছেন। জ্যাকলিনের জন্য সেই সময় প্রাইভেট জেট পাঠাতেন সুকেশ। তাদের একাধির ঘনিষ্ঠ ছবি একাধিকবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। একটা ছবিতে তো বিছানায় অন্তরঙ্গ সেলফি ছিল দুজনের, অভিনেত্রীর গলায় লাভ বাইটস। সুকেশের থেকে হিরের গয়না, দামি ব্যাগ-পোশাক-সহ একাধিক মূল্যবান উপহারও নিয়েছেন কিক-অভিনেত্রী।