ভারতের সভাপতিত্বে কৌশলগত বহুপক্ষীয় সংগঠন জি-২০ এর যে সম্মেলন হতে যাচ্ছে, সেখানে অতিথি দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানাবে নয়াদিল্লি। ওই সম্মেলনে মোট ৮টি দেশকে আমন্ত্রণ জানাবে। এরমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। প্রসঙ্গত, জি-২০ চেয়ারম্যান ভারত।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এমনটিই জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দ্রুত তাদের স্বদেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে ঢাকার পাশাপাশি নেপিদো কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কাজ করছে ভারত। এজন্য রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরির চেষ্টাও চালাচ্ছে দেশটি।

তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া লোকদের স্বদেশে দ্রুত প্রত্যাবাসন করতে হবে, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের অকুণ্ঠ সমর্থন আছে। তবে প্রত্যাবাসন হতে হবে স্থায়ী ও নিরাপদ পরিবেশে। আমরা এজন্য ওই পাশেও (মিয়ানমার) কাজ করছি, যেন এই লোকেরা (রোহিঙ্গা) সেখানে নিরাপদে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ পায়। আমরা মনে করি, যে কোনো সংকটে কূটনীতিই সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এজন্যই আমরা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এবং আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করছি, যেন কার্যকরভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরের কিছু অগ্রগতি তুলে ধরেন তিনি। কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টন সংক্রান্ত চুক্তি, ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (সেপা) করতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, বাণিজ্য ও যোগাযোগ সংক্রান্ত বেশ কিছু সমঝোতা স্মারকের কথা তুলে ধরে হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ‘ফলপ্রসূ’ বলে উল্লেখ করেন।

২০২০ সালের অক্টোবরের শুরুর দিকে ঢাকায় আসেন হাইকমিশনার দোরাইস্বামী। প্রায় দুই বছর ঢাকায় দায়িত্ব পালন শেষে নয়াদিল্লি ফিরে যাচ্ছেন তিনি।

ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, ঢাকায় দায়িত্ব পালন শেষে বিক্রম দোরাইস্বামী যুক্তরাজ্যে ভারতের রাষ্ট্রদূত হতে যাচ্ছেন। আর তার স্থলাভিষিক্ত হয়ে বাংলাদেশে হাইকমিশনার হিসেবে আসছেন প্রণয় কুমার ভার্মা। তিনি এর আগে ভিয়েতনামে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।