×

জাতীয়

সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেয়া সেই চিকিৎসক হেফাজতে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:০৫ পিএম

সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেয়া সেই চিকিৎসক হেফাজতে

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থাকা চিকিৎসক শাকির বিন ওয়ালী

রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিচয়ে তুলে নেয়া চিকিৎসক শাকির বিন ওয়ালী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন। তবে কোন সংস্থা বা কি কারণে তাকে আটক করেছে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা নিশ্চিত হয়েছি ওই চিকিৎসক কোনো একটি সংস্থার হেফাজতে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হবে। এর বেশি কিছু এখনো জানি না। ওই চিকিৎসকের বাবা ডা. এ. কে. এম ওয়ালী উল্লাহও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ছেলে অপহরণ হয়নি, হেফাজতে আছে এমন খবর পেয়ে নিশ্চিন্ত হলাম।

এরআগে, সদ্য এমবিবিএস পাস করা শাকির বিন ওয়ালীকে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেন তার বাবা। এ বিষয়ে রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করতে যান তিনি। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নিতে রাজি হয়নি বলে অভিযোগ করেন ডা. এ. কে. এম ওয়ালী উল্লাহ।

সূত্র জানায়, শাকির বিন ওয়ালী কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ২০২০ সালে এমবিবিএস পাস করেন। বর্তমানে তিনি এফসিপিএস-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শাকির ছাত্রজীবনে রেটিনা কোচিং সেন্টারে পড়াতেন। এমবিবিএস পড়ার সময় অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে দেড় মাস কারাগারে ছিলেন। তার বাবা চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ওয়ালী উল্লাহ ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সহ-সভাপতি। সংগঠনটি ইসলামি ও ডানপন্থি ঘরানার চিকিৎসকদের।

আটক হওয়া শাকিরের বাবা বলেন, রবিবার বিকেল তিনটার দিকে সিআইডি পরিচয়ে সিভিল পোশাকে চারজন ব্যক্তি আমার বাসায় প্রবেশ করেন। আমি তখন পেশাগত কাজে বাইরে ছিলাম। তারা আমার দ্বিতীয় সন্তান, সদ্য এমবিবিএস পাস করা ডা. শাকির বিন ওয়ালীকে বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নামে নিয়ে যান। তাদের নাম-পরিচয় ও ফোন নম্বর জানতে চাইলে শুধু বলেন, আমরা সিআইডির লোক। একই দিন রাত ১০টার দিকে আবার সাদা পোশাকে চার থেকে পাঁচ জন সিআইডি পরিচয়ে আমার বাসায় আসেন। তারা আমার ছেলের রুম তল্লাশি করে একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যান।

তাদের নাম-পরিচয় ও মোবাইল নম্বর জানতে চাইলে তখনও শুধু বলেন, আমরা সিআইডির লোক। পরদিন সোমবার সকালের দিকে ওয়ালী উল্লাহ সিআইডির মালিবাগ অফিসে যান এবং সেখানে রিসিপশনে যোগাযোগ করেন। তারা শাকির বিন ওয়ালীর ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর ছেলেকে তুলে নেয়ার বিষয়ে রামপুরা থানায় জিডি করতে যান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App