×

জাতীয়

জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক সেই চিকিৎসককে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০৪ পিএম

জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক সেই চিকিৎসককে

আটক চিকিৎসক শাকির বিন ওয়ালী

জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করা হয়েছে শাকির বিন ওয়ালী নামে সেই চিকিৎসককে। তিনি ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) হেফাজতে রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে একটি সূত্র। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

পুলিশের একটি ঊর্ধ্বতন সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তার বিরুদ্ধে আগেও এমন অভিযোগ ছিল। ছাত্রাবস্থায়ও একই অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর জামিনে থাকলেও তিনি জঙ্গিবাদ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেননি।

সূত্র আরও জানায়, শাকির বিন ওয়ালীকে জঙ্গিবাদের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তার সঙ্গে সম্প্রতি কুমিল্লায় নিখোঁজ হওয়া ৭ শিক্ষার্থীর কোনো যোগাযোগ বা সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি কোন সংগঠনের সঙ্গে তিনি জড়িত সে বিষয়েও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা নিশ্চিত হয়েছি, ওই চিকিৎসক কোনো একটি সংস্থার হেফাজতে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হবে। এর বেশি কিছু এখনো জানি না। ওই চিকিৎসকের বাবা ডা. এ. কে. এম ওয়ালী উল্লাহও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ছেলে অপহরন হয়নি, হেফাজতে আছে এমন খবর পেয়ে নিশ্চিন্ত হলাম।

সূত্র জানায়, শাকির বিন ওয়ালী কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ২০২০ সালে এমবিবিএস পাস করেন। বর্তমানে তিনি এফসিপিএস-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শাকির ছাত্রজীবনে রেটিনা কোচিং সেন্টারে পড়াতেন। এমবিবিএস পড়ার সময় অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে দেড় মাস কারাগারে ছিলেন। তার বাবা চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ওয়ালী উল্লাহ ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সহ-সভাপতি। সংগঠনটি ইসলামি ও ডানপন্থি ঘরানার চিকিৎসকদের।

আটক হওয়া শাকিরের বাবা বলেন, রবিবার বিকেল তিনটার দিকে সিআইডি পরিচয়ে সিভিল পোশাকে ৪ জন ব্যক্তি আমার বাসায় প্রবেশ করেন। আমি তখন পেশাগত কাজে বাইরে ছিলাম। তারা আমার দ্বিতীয় সন্তান, সদ্য এমবিবিএস পাস করা ডা. শাকির বিন ওয়ালীকে বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নামে নিয়ে যান। তাদের নাম-পরিচয় ও ফোন নম্বর জানতে চাইলে শুধু বলেন, আমরা সিআইডির লোক। একই দিন রাত ১০টার দিকে আবার সাদা পোশাকে ৪/৫ জন সিআইডি পরিচয়ে আমার বাসায় আসেন। তারা আমার ছেলের রুম তল্লাশি করে একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যান।

তাদের নাম-পরিচয় ও মোবাইল নম্বর জানতে চাইলে তখনও শুধু বলেন, আমরা সিআইডির লোক। পরদিন সোমবার সকালের দিকে ওয়ালী উল্লাহ সিআইডির মালিবাগ অফিসে যান এবং সেখানে রিসিপশনে যোগাযোগ করেন। তারা শাকির বিন ওয়ালীর ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর ছেলেকে তুলে নেয়ার বিষয়ে রামপুরা থানায় জিডি করতে যান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App