×

জাতীয়

কর্ণেল শহিদের ৩ বছর কারাদণ্ড

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:০০ পিএম

কর্ণেল শহিদের ৩ বছর কারাদণ্ড

ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার একটি মামলায় মাত্র চার কার্যদিবসে কর্ণেল (বরখাস্ত) মো. শহিদ উদ্দিন খানের বিচার শেষ হয়েছে। রায়ে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাজিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।

তবে আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এ বিষয়ে আদালতে দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, আদালত মামলাটি মাত্র চার কার্যদিবসে বিচার শেষ করে রায় দিলেন। মামলাটিতে আদালত গত ৮ আগস্ট চার্জগঠনের পর গত ২৩ আগস্ট এবং ৭ সেপ্টেম্বর ২ কার্যদিবসে ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এরপর আজ যুক্তিতর্কের পর আদালত রায় ঘোষণা করলেন।

২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় কর্ণেল শহিদ উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ মামলাটি করেন। একই কর্মকর্তা মামলা তদন্ত করে গত বছরের ১৪ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে বলা হয়, রাজধানীর বারিধারায় শহিদ উদ্দিন খানের পরিবারের সদস্যদের নামে ১টি ফ্ল্যাট এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ২টি বাড়ি আছে। যার মূল্য কম-বেশী মোট ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তাছাড়া তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ব্যাংকে ১২টি একাউন্ট রয়েছে। স্ত্রী-কন্যার নামে ঢাকাস্থ প্রচ্ছায়া লি. নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রতি শেয়ার ১০০ টাকা হিসাবে ৫ কোটি টাকা মূল্যের ৫ লাখ শেয়ার এবং কুমিল্লায় কোটি টাকা মূল্যের বন্দীশাহী কোল্ড ষ্টোরেজ রয়েছে। এছাড়া লন্ডনেও তাদের নামে জুমানা ইনভেষ্টমেন্টস এন্ড প্রোপার্টিজ লিমিটেড নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং সাইপ্রাসেও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তার সহোদর ভাই মোহাম্মাদ আলী খানের নামে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইস্থ ব্যাংকে ৩০ লাখ ৩৯ হাজার দিরহাম জমা ছিল। যা জুমানা ইনভেষ্টমেন্টস অ্যান্ড প্রোপার্টিজ লিমিটেড নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তরিত হয়।

চার্জশিটে আরও বলা হয়, কর্ণেল শহিদ উদ্দিন খানের নিজ নামে বা তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে কম-বেশী ৩০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জন করাসহ বিদেশে তাদের নামে ১২টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে, যা একজন সরকারী কর্মকর্তা হিসাবে অস্বাভাবিক। অর্থাৎ তার বা পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। সে কারণে তাকে ২০২০ সালের ১৬ আগস্ট সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ ইস্যু করা হয়।

২০২০ সালের ১০ নভেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় কর্ণেল শহিদ উদ্দিন খান, তার স্ত্রী মিসেস ফারজানা আনজুম খানসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর একই বছরের ২০ ডিসেম্বর আদালত আয়কর ফাঁকির মামলায় কর্ণেল (অব.) শহীদ উদ্দিন খানের ৯ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App