×

জাতীয়

কমানো হলো ঢাকা-বরিশাল রুটে লঞ্চের সংখ্যা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৫০ পিএম

কমানো হলো ঢাকা-বরিশাল রুটে লঞ্চের সংখ্যা

ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা সেতু চালু এবং জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর তীব্র যাত্রী সংকট চলছে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে। প্রতিদিন লোকসান হওয়ায় নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন এই রুটে চলাচলকারী বিলাসবহুল লঞ্চগুলোর মালিকরা। কিন্তু এতে করেও যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে না। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন ছয়টি লঞ্চ চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রতিদিন ঢাকা প্রান্ত থেকে তিনটি লঞ্চ বরিশালের উদ্দেশে এবং বরিশাল প্রান্ত থেকে তিনটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে যাত্রী পরিবহন করবে।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় লঞ্চ মালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল যাত্রী পরিবহন (যাপ) সংস্থার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সভা সূত্রে জানা গেছে, এই রুটে চলাচলকারী ১৮টি লঞ্চের ১০ জন মালিক সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত মেনে চলতে যৌথ সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। তারা বুধবার থেকে ছয়টি গ্রুপে ভাগ হয়ে রোটেশন পদ্ধতিতে লঞ্চ চালাবেন। সভায় নেয়া অন্য সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে- ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চ সকাল পাঁচটার মধ্যে বরিশাল নদীবন্দরে পৌঁছবে এবং বরিশাল থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চ ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল ছয়টার মধ্যে। পথে এ রুটের কোনো লঞ্চ অন্য লঞ্চকে ওভারটেক করতে পারবে না।

যাপ সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের (বীরবিক্রম) সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জমান, ঢাকা নদীবন্দর থেকে নৌ চলাচল ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক মো. মামুন অর রশিদ, সুন্দরবন নেভিগেশনের স্বত্বাধিকারী সাইদুর রহমান রিন্টু, সালমা শিপিং করপোরেশনের মনজুরুল হক ফেরদৌসসহ লঞ্চ মালিকরা।

সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-বরিশাল নৌপথে যাত্রী সংকট শুরু হলেও ভাড়া কমিয়ে কিছুটা লোকসান কমানো সম্ভব ছিল। কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর লঞ্চ মালিকদের চূড়ান্ত ক্ষতি হয়েছে। ভাড়া বাড়ানোর কারণে কেবিনের যাত্রী ২০-৩০ শতাংশের বেশি পাওয়া যায় না। প্রতি ট্রিপে লোকসান দিতে হয় ২-৩ লাখ টাকা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App