×

জাতীয়

‘অভিবাসী কূটনীতি’ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:২৯ পিএম

‘অভিবাসী কূটনীতি’ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

ফাইল ছবি

বিদেশে বসে দেশবিরোধী নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। সেসব দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের মোকাবিলার জন্য ইতিবাচক প্রচারণায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কলাম লেখক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, ইতিবাচক কলাম লেখকদের যথাযথ সম্মানীর ব্যবস্থাও করা হবে। পাশাপাশি এ কাজ সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি নতুন শাখা খোলারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের আওতায় নতুন এ শাখার নাম দেওয়া হয়েছে- ‘অভিবাসী কূটনীতি’। এই অধিশাখা খুলতে ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সরকারের পক্ষ থেকে সংসদীয় কমিটির সদস্যদের ভালো কলামিস্টদের সন্ধান দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, নেতিবাচক প্রচারণা বন্ধ ও ইতিবাচক প্রচারণা চালাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্র জানায়, কমিটির আগের বৈঠকে বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা নেতিবাচক প্রচারণা বন্ধে মন্ত্রণালয়কে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। এসব কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে একটি আলাদা সেল গঠনেরও কথা বলা হয় ওই সুপারিশে। আগের বৈঠকের সুপারিশের অগ্রগতি প্রতিবেদনে আজ এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবাসী বা অভিবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণায় লিপ্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অন্যান্য মিডিয়ায় তাদের সরব উপস্থিতি ও দেশবিরোধী আপত্তিকর মন্তব্য ও বক্তব্য প্রচারের জন্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে স্বাগতিক দেশের নানাবিধ আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অনেক ক্ষেত্রে দুরূহ হয়ে পড়ে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগে ‘অভিবাসী কূটনীতি’ নামে একটি অধিশাখা সৃষ্টি করে একজন পরিচালকসহ দু’জন সহকারী সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা পদায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অধিশাখা সৃজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগসহ অন্যান্য অংশীজনের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর কাজ চলছে।

এদিকে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন আগের বৈঠকে বলেন, বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দাকে পুঁজি করে সরকারবিরোধীরা দেশের ভেতরে ও বাইরে নানা ধরনের নেতিবাচক প্রচারণা ব্যাপকভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণার বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে এমন কোনো কলাম কারও কাছে থাকলে তা হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করলে বিভিন্ন মিশনে প্রচারের কথা বলেন তিনি।

ওই বৈঠকে কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক বলেন, ইদানীং দেশের বাইরে বিভিন্ন ডায়াসফোর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা করে যাচ্ছে। এগুলো মোকাবিলায় মিশনগুলোর জোরালো ভূমিকা পালন করা উচিত।

ওই বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে আর্টিকেল লেখার দক্ষ জনবল না থাকায় সম্মানী দিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কলামিস্টদের ইতিবাচক লেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু ভালো আর্টিকেল লেখার মতো কলামিস্টের সংখ্যাও খুব কম। আগামী দেড় বছর বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী শক্তিগুলো সোচ্চারভাবে সমালোচনায় মেতে উঠতে পারে। এ সময় মন্ত্রী ভালো কোনো কলামিস্টের সন্ধান থাকলে তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে কমিটির সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App