সীমান্তে উত্তেজনা এড়াতে মিয়ানমারের সঙ্গে সংলাপ চায় ঢাকা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:৪০ পিএম
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। ছবি: বিবিসি
মিয়ানমারের সঙ্গে সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সীমান্তে উত্তেজনা এড়াতে চায় বাংলাদেশ, এমনটাই জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) এ খবর জানানো হয়।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মিয়ানমারের সীমান্ত বাহিনী এ নিয়ে আলোচনা করবে। যেন কোনো সমস্যা হলে দ্রুত সমাধান করা যায়।দেশের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে মিয়ানমার। অনিচ্ছাকৃতভাবে সেখানে কয়েকটি গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি স্বীকার করেছে তারা।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে দেশের ভেতরে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এ কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে উঠতে পারেন। বিজিবি এ নিয়ে সতর্ক রয়েছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
তিনি বলেন, সীমান্তে যাতে কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য চেষ্টা চলছে। আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি। বাংলাদেশের ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেবে না বিজিবি।
এর আগে নিজ ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে মর্টার শেল ছোড়া, সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমার নির্বিচারে বিমান থেকে গুলি চালানো এবং আকাশপথ লঙ্ঘনের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ। গত ৩ সেপ্টেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ির ধুমধুমের রেজু আমতলি বিজিবি বিওপি ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের কাছে মিয়ানমারের দুটি হেলিকপ্টার এবং সমান সংখ্যক বিমান দেখা যায়। এ ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মোকে দেশটির উইংয়ের মহাপরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়।
বৈঠকে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শান্তিকামী জনগণের নিরাপত্তা জন্য মারাত্মক হুমকি, দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন এবং প্রতিবেশী সুসম্পর্কের পরিপন্থী। রাখাইন থেকে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের বাসিন্দাদের কোনো অনুপ্রবেশ যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করতে তাকে আহ্বান জানানো হয়।
গত আগস্টে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দুটি মর্টারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় মিয়ানমারকে দু’বার কঠোর প্রতিবাদ জানায়। ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে উত্থাপন করে।