×

সারাদেশ

২৫০ টন পলিথিন-প্লাস্টিকবর্জ্য পড়ছে কর্নফুলী নদীতে!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০১:০৭ এএম

২৫০ টন পলিথিন-প্লাস্টিকবর্জ্য পড়ছে কর্নফুলী নদীতে!

কর্ণফুলীতে প্রতিদিন পড়ছে ২৫০ টন বর্জ্য, ঢুকছে মানবদেহেও। ছবি: ভোরের কাগজ

২৫০ টন পলিথিন-প্লাস্টিকবর্জ্য পড়ছে কর্নফুলী নদীতে!

ভাবতে পারেন প্রতিদিন চট্টগ্রাম নগরী থেকে নানাভাবে প্রায় আড়াই’শ পলিথিন ও প্লাস্টিকবর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে পড়ছে। যা মাছসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করছে। এমন ভয়াবহ-উদ্বেগজনক তথ্যই উঠে এসেছে দুই তরুণ গবেষকের গবেষণায়।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী পিয়াল বড়ুয়া ও আল আমিন।

এই দুই তরুণ গবেষকের দাবি, এ কারণেই বাড়ছে মানবদেহে বিভিন্ন ধরণের রোগ। এছাড়া এসব বর্জ্য নগরের জলাবদ্ধতার কারণ বলেও জানিয়েছে তারা।

চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগ ও বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের যৌথভাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনের আরো বলা হয়, চট্টগ্রাম শহরে প্রতিদিন তিন হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এরমধ্যে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ হিসাবে ২৪৯ টন হচ্ছে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য। এসব বর্জ্যের মধ্যে আবার ৩৫.৬১ ভাগ পুনরায় ব্যবহারযোগ্য। নদীতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নদীর তলদেশ কিংবা অন্যান্য স্তরে ভাসতে থাকা এসব প্লাস্টিক বর্জ্য খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করছে। এসব মাছ খাদ্য হিসেবে মানুষ গ্র্রহণ করায় মানবদেহে মিশে যাচ্ছে ক্ষতিকর কেমিক্যাল মাইক্রোপ্লাস্টিক। যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

ক্রমাগত প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য সৃষ্টির পেছনে সাধারণ মানুষের অসচেতনতা, যত্রতত্র ছুঁড়ে ফেলা, পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকা, প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়াকে দুষছেন গবেষকরা।

সংবাদ সম্মেলনে ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রামের (ইউএসটিসি) উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কর্ণফুলী সংকটে পড়লে সংকটে পড়বে চট্টগ্রামের মানুষ, তথা পুরো দেশ। এ নদীকে বাঁচাতে হলে সবার আগে পলিথিনের উৎপাদন সমূলে বন্ধ করতে হবে। এজন্য সরকারের সদিচ্ছার প্রয়োজন।

চট্টগ্রামের নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আলীউর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর পলিথিন বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে মিশছে। যার ফলে নদীর তলদেশে জমেছে পলিথিনের বড় স্তর। প্লাস্টিক সহজে রিসাইকেল করা গেলেও পলিথিন সহজে রিসাইকেল করা যায় না। এসব পলিথিন নদী থেকে সাগর পর্যন্ত চলে যাচ্ছে। এতে মাছের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে কর্ণফুলী নদীতে মাছের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে।

এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম পরিবেশ ফোরাম চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার পালিত, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, চট্টগ্রাম চেপ্টারের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাশ, পরিবেশ সংগঠক মনোজ কুমার দেব প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App