×

খেলা

শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে লড়াকু পুঁজি পেল লঙ্কানরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৫২ পিএম

শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে লড়াকু পুঁজি পেল লঙ্কানরা

দুবাইয়ে রবিবার এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২১ বলে ৩৬ রানের মহামূল্যবান ইনিংস খেলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা

শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে লড়াকু পুঁজি পেল লঙ্কানরা

লঙ্কান ব্যাটারদের চার- ছয়ে হতাশ পাকিস্তানের শাদাব খান

ক্রিকেটে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এশিয়া কাপের ফাইনালে আজ রবিবার ( ১১ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানকে ১৭১ রানের টার্গেট দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান সংগ্রহ করে লঙ্কানরা। জিততে হলে পাকিস্তানকে করতে হবে ১৭১ রান। শুরুটা ভাল হয়নি শ্রীলঙ্কার। শুরুতেই ওপেনার কুশল মেন্ডিসের উইকেট হারায় লঙ্কানরা। দলীয় ২৩ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় দাসুন শানাকা বাহিনী।

৮.৯ ওভারে ৫৮ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে লঙ্কানরা। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও ভানুকা রাজাপাকসের পার্টনারশিপে ৫৮ রান আসে। ২১ বলে ৩৬ রান করে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা আউট হলেও অন্যপ্রান্ত আঁকড়ে রাখেন ভানুকা রাজাপাকসে। তিনি ৪৫ বলে ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে অপর লঙ্কান ব্যাটারদের মধ্যে পাথুম নিসানকা আট, দানুস্কা গুনালিথাকা এক, ধনঞ্জনা ডি সিলভা ২৮, দাসুন শানাকা দুই রানে আউট হন।

[caption id="attachment_367477" align="alignnone" width="700"] লঙ্কান ব্যাটারদের চার- ছয়ে হতাশ পাকিস্তানের শাদাব খান[/caption]

পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে হারিস রউফ ২৯ রানের বিনিময় তুলে নেন তিন উইকেট। নাসিম শাহ, শাদাব খান ও ইফতিখার আহমেদ একটি করে উইকেট লাভ করেন। মহাগুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে আজ অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামে শ্রীলঙ্কা । অন্যদিকে পাকিস্তান দল মাঠে নামে দুই পরিবর্তন নিয়ে। উসমান কাদির আর হাসান আলির পরিবর্তে দলে জায়গা পান শাদাব খান আর নাসিম শাহ।

এখন পর্যন্ত ২২বার টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এরমধ্যে ১৩বার জিতেছে পাকিস্তান। ৯বার জয় আছে শ্রীলঙ্কার। টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি লড়াইয়ে পাকিস্তানের জয়ের পাল্লা ভারী থাকলেও এশিয়া কাপের মঞ্চে বেশি জয় রয়েছে শ্রীলঙ্কার। এশিয়া কাপে ১৬বারের লড়াইয়ে ১১বার জিতেছে লঙ্কানরা। পাঁচবার জয় আছে পাকিস্তানের। ২০১৪ সালের পর গতকাল ফের এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় দুদল। শুক্রবার সুপার ফোরে দেখা হয়েছিলো দু’দলের। ফাইনালের ‘ড্রেস রিহার্সেল’ ম্যাচে পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতে দাসুন শানাকা বাহিনী।

এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাবল প্রতিশোধের পালা পাকিস্তানের। কারণ ২০১৪ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটের ফাইনালে লঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে হেরেছিল পাকিস্তান। এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। প্রথম ওভারেই সাফল্য পায় পাকিস্তানের তরুণ পেসার নাসিম শাহ। ১৪২ কিলোমিটার গতিতে করা ইনিংসের তৃতীয় বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন শ্রীলঙ্কার উইকেটরক্ষক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কুশাল মেন্ডিস। এই আঘাতের পর ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করে শ্রীলঙ্কা। দুই রানে কুশাল মেন্ডিসকে হারানোর পর নিসানকা ও ধনঞ্জয়া দলীয় সংগ্রহকে বড় করতে থাকেন। তিন ওভার শেষে দুজন তুলেন ২৩ রান।

চতুর্থ ওভারে দুজনের জুটি ভাঙেন হারিস রউফ। তার করা দ্বিতীয় বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে অধিনায়ক বাবর আজমের হাতে ধরা পড়েন পাথুম নিসানকা। ১১ বলে এক চারে আট রান করেন তিনি। দলীয় ৩৬ রানে সাজঘরে ফিরেন দানুস্কা গুনালিথাকা। হারিস রউফের করা ১৫১ কিলোমিটার গতির বল সামলাতে না পেরে বোল্ড হন তিনি। সপ্তম ওভারে চমক জাগিয়ে ইফতিখার আহমেদের হাতে বল তুলে দেন বাবর আজম। পার্টটাইমার এই অফস্পিনার প্রথম ওভারেই উইকেট এনে দেন দলকে। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা তার ফিরতি ক্যাচ হয়ে ফেরেন ২১ বলে ২৮ রান করে। পরের ওভারে উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দেন শাদাব খানও। লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা তাকে ক্রস খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হন। ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কা পরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App