জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়াসহ ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসমূহের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা প্রথমে মানববন্ধন করেন। পরে সারা ক্যাম্পাসসহ বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী।

[caption id="attachment_367458" align="aligncenter" width="700"] রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমাদের অগ্রজদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালে ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ২০০ একর জমির ওপর নতুন ক্যাম্পাসের জন্য বরাদ্দ দেন। কিন্তু দুইবার মেয়াদ বাড়ালেও সেই ক্যাম্পাসের কাজের কোন অগ্রগতি নেই। নানা সময়ে টেন্ডার নিয়ে জবি ছাত্রলীগ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মাঝে রেষারেষি দেখা যাচ্ছে। এছাড়া টেন্ডারে অনিয়ম করতে দেখা যাচ্ছে। তাই বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ আটকে আছে।

[caption id="attachment_367459" align="aligncenter" width="700"] রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য তাই সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর ঢাকা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর দ্রুত ক্যাম্পাস বাস্তবায়নে একটি স্বারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।

নতুন ক্যাম্পাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি-

• জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের কাজ প্রধানমন্ত্রীর অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা।
• প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরবর্তী নির্মাণ কাজ শেষ করা।
• ক্যাম্পাসের কাজে হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনের গ্রেপ্তার করা।
• দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও অবিলম্বে পুলিশের থানা বাস্তবায়ন।
• শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলো আগে সম্পন্ন করা।
• লেক নির্মাণের টেন্ডারে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তার সুষ্ঠু তদন্ত করা।
• জরিপের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ২০০ একর জমি নিশ্চিত করা।
• প্রকল্পে ছাত্র প্রতিনিধি যুক্ত করা বা শিক্ষার্থীদের কাছে প্রকল্পের সব তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
• দ্রুত পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা এবং
• বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান নতুন ক্যাম্পাস তথা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে করা।