×

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সফল এবং ফলপ্রসূ হয়েছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:১৬ পিএম

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সফল এবং ফলপ্রসূ হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর অত্যন্ত সফল এবং ফলপ্রসূ হয়েছে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) আয়েজিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সবচে বড় অর্জন হচ্ছে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্যসহ বিনাশুল্কে পণ্য রপ্তানির সুযোগ। যেটির জন্য বহু বছর ধরে বাংলাদেশ চেষ্টা করে এসেছে। সবমিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত সফল এবং ফলপ্রসূ হয়েছে।

এ সময় চট্টগ্রামের ৩৬ জন সাংবাদিকের হাতে ৩৪ লাখ টাকার অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারত সফর নিয়ে বিএনপি নানা ধরনের কথা বলেছে, এখন নিশ্চয়ই চুপসে গেছে। কিন্তু এরপরও বিএনপির ফখরুল সাহেবরা আজকালের মধ্যে কিছু একটা বলবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত চমৎকার একটি সফর হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক ন্যায্যতার ভিত্তিতে। আমাদের সরকারই ভারতের কাছ থেকে সমস্ত কিছু আদায় করেছে। ১৯৭৪ সালে ছিটমহল চুক্তি হয়েছে। সেই ছিটমহল আমাদের অধিকারে চার দশকে কেউ আনতে পারেনি। তারা কোন দেশের নাগরিক সেটা বলতে পারতো না। শেখ হাসিনার সরকার ছিটমহলগুলো আমাদের অধিকারে এনেছে। ন্যায্যতার ভিত্তিতে যে সম্পর্ক সেটির বড় প্রমাণ হচ্ছে, আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের সাথে মামলা করে সমুদ্রসীমা জয়লাভ করেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সেই সম্পর্ক আরো নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের হাজার পণ্যের মধ্যে মাদকসহ মাত্র বিশটি পণ্য ছাড়া ভারত আমাদেরকে ট্যারিফ সুবিধা দিয়েছে। যেটি বিএনপি আদায় করতে পারে নাই। খালেদা জিয়া তো ভারতে গিয়ে আমাদের গঙ্গার পানির কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলেন। সেটিও আদায় করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সাংবাদিকদের দাবি ছিল, একটা কল্যাণ তহবিল গঠন করার। প্রথমে একটা কল্যাণ তহবিল গঠন হয়েছিল। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী বললেন, আমি কতদিন ক্ষমতায় থাকি জানি না, একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করে দিতে চাই। তারই আগ্রহে সংসদে পাশ করা আইন দ্বারা সংবিধিবদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠান সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট। যেখানে প্রতিবছর সরকার অনুদান দেয়। শুভানুধ্যায়ীদের কাছ থেকেও অনুদান গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। আর কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণের ক্ষেত্রে আমরা কখনো কে কোন দল বা মতের সেটি দেখি না। আমি দল করি, আমি দলীয় সরকারের মন্ত্রী, কিন্তু যখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছি তখন সবাইকে দুই চোখে সমভাবে দেখার চেষ্টা করি। রাষ্ট্রের সাহায্য যেন সবাই পায়। যারা প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে কালকেই সরকার নামিয়ে দেয়, আমাদের বিরুদ্ধে গলা ফাটায়, তাদেরকেও আমরা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সহায়তা করেছি।

প্রত্যেক মিডিয়া হাউজ যেন সাংবাদিকদের জন্য গ্রুপ বীমার ব্যবস্থা করে সে অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি কিন্তু আমাদের ওয়েজবোর্ডের মধ্যেও বলা আছে। সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো প্রতিটা মিডিয়া হাউজে তাগাদা দিবেন ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী যেন সাংবাদিকদের জন্য গ্রুপ বীমার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এটি করলে একজন সাংবাদিক অসুস্থ হলে এবং মৃত্যবরণ করলে বীমা কোম্পানি থেকে টাকা পাবে। এতে যে খুব ব্যয় হয় তা কিন্তু নয়, এটি ইচ্ছা এবং চর্চার ব্যাপার।

সিইউজের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App