×

জাতীয়

৩০০ একর ফসলি জমিতে ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৫৮ পিএম

৩০০ একর ফসলি জমিতে ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ

খুলনার দাকোপে ফসলি জমি হুকুমদখলের প্রতিবাদে আন্দোলন করছেন স্থানীয় লোকজন। ছবি: সংগৃহীত

খুলনার দাকোপের বানিশান্তা ইউনিয়নের ৩০০ একর তিন ফসলি জমিতে ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন দেশের ১৩ বিশিষ্ট নাগরিক। এরই ধারাবাহিকতায় এবার জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ আজ বুধবার এক বিবৃতিতে এবিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তারা বিবৃতিতে বলেছেন, খুলনার দাকোপের বানিশান্তা ইউনিয়নের ৩০০ একর তিন ফসলি জমিতে ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রতি বক্তব্য, সবাইকে কৃষিতে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ১ ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রেখে সেখানে একটা তরকারি গাছ বা মরিচ গাছ হলেও রোপণের তাগিদ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য ও কৃষিক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন নীতি জনমনে আশা সঞ্চার করলেও বিভিন্ন প্রকল্পে যেভাবে কৃষিজমি গ্রাস করা হচ্ছে, তা আশঙ্কাজনক। কৃষিজমি ধ্বংসের এ প্রক্রিয়ায় সামিল হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। সম্প্রতি মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ পশুর নদ ড্রেজিং করতে 'মোংলা বন্দর ইনারবার ড্রেজিং' নামে একটি প্রকল্প নিয়েছে। এ প্রকল্পের জন্য পশুর নদে ড্রেজিং করা মাটি ফেলার জন্য ১ হাজার একর জমি হুকুম দখলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে খুলনার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের ৩০০ একর তিন ফসলি, উর্বর কৃষিজমি। বানিশান্তা, আমতলা, ভোজনখালী, খাজুরা ও ঢাংমারী-এ ৫ গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার তাদের জীবন ও জীবিকার জন্য সম্পূর্ণরূপে এ কৃষি জমির ওপর নিভর্রশীল। এ জমিতে ড্রেজিংয়ের মাটি ফেললে স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হবে হাজারেরও বেশি সংখ্যালঘু সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার।

নেতারা বলেন, ২০২২ সালের শুরুতে খুলনা জেলা প্রশাসন বানিশান্তা এলাকার ২৫০ জন কৃষিজমির মালিককে হুকুম দখলের নোটিশ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলে এলাকার কৃষিজমির মালিকরাসহ অন্য কিষান-কিষানিরা আপত্তি জানিয়ে জেলা প্রশাসককে লিখিত অভিযোগ দেন। তারও আগে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর বানিশান্তা ইউনিয়ন ভূমি অফিস জানিয়ে দেয় যে বানিশান্তায় মাটি ভরাট করা হলে জনরোষের আশঙ্কা রয়েছে। কৃষাণ-কৃষাণির সব অভিযোগ ও মতামত উপেক্ষা করে বানিশান্তার ৩০০ একর কৃষিজমি হুকুম দখলের প্রক্রিয়া শেষ করেন খুলনার তৎকালীন জেলা প্রশাসক।

নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নয়, তাদের যৌক্তিক দাবিকে মেনে নিয়েই ড্রেজিংয়ের মাটি ফেলার সংকটকে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এলাকার জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসক, আন্দোলনরত কৃষাণ-কৃষাণি ও নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ নিয়ে অকৃষি জমি রয়েছে এমন বিকল্প স্থান যেন ড্রেজিংয়ের মাটি ফেলার জন্য বেছে নেওয়া হয়।

তারা অবিলম্বে খুলনার দাকোপের বানিশান্তা ইউনিয়নের ৩০০ একর তিন ফসলি জমিতে ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার সিদ্ধান্ত বাতিল করার আহ্বান জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App