×

জাতীয়

ভাঙা সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির মচ্ছব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:২৯ এএম

ভাঙা সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির মচ্ছব

সড়ক খনন নীতিমালা উপেক্ষিত > তিন মাসের কাজ বছরজুড়ে > সেবা সংস্থার কাজে সমন্বয় নেই

চলতে চলতে হঠাৎ করেই কষতে হয় ব্রেক। নইলে বিপদ। টুপ করে গাড়ির চাকা উল্টে পড়ে যাবে গর্তে। সেখানে আটকে গেলে আর রক্ষা নেই। ভাঙাচুরা কঙ্কালসার সড়কে আছড়ে পড়ে চালক কিংবা যাত্রীর জীবন নিয়ে দৌড়াতে হবে হাসপাতালে। রাজধানীর বাংলামোটর থেকে মগবাজারমুখী সড়কের বেহাল দশা দেখে আঁতকে উঠবেন যে কেউই। দিনের বেলা রাস্তা জুড়ে খানাখন্দ চোখে পড়লেও রাতের বেলা অসতর্ক চালক-পথচারীদের পড়তে হচ্ছে গর্তে। তার ওপর বৃষ্টি হলে গর্তগুলোতে পানি ভর্তি হয়ে হাঁটু কিংবা কোমর পানিতে মানুষের চলাচলে ঘটছে বিপত্তি। মগবাজারমুখী এই সড়কের মতো গতকাল সোমবার দুপুরের পর ঘণ্টাখানেকের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ফার্মগেট থেকে কাওরানবাজার হয়ে বাংলামোটর সড়কে বৃষ্টির পানি জমে নদীর মতো আছড়ে পড়ছে ঢেউ। চোখে দেখলে বিশ্বাস হওয়ার উপায় নেই এটা কোনো ব্যস্ততম সড়ক। ঢেউ ভেঙে, গর্ত এড়িয়ে গাড়ি চলতে গিয়ে রাস্তা জুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র জলজট। জলের স্রোতের মধ্যেই কাওরানবাজার মোড়ে ঠিক ওয়াসা ভবনের সামনে একটি মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার গর্তে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওয়াসার লোকজন যন্ত্র বসিয়ে গর্ত থেকে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করছে দেখা গেলেও জনগণের চলাচলে খুব একটা সুবিধা হয়নি। পথচারী শফিক রহমান বলেন, ‘চাইর দিন আগেও গর্ত ছোট ছিল; এখন হাঁ কইরা আছে।’ এ সময় কেউ কেউ সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে বাস থেকে নেমে পানি ভেঙে হেঁটে রওনা দেন।

রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে চলছে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। কোথাও মেট্রোরেল, এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে, বিদ্যুৎলাইন, মাটির নিচ দিয়ে নেয়া হচ্ছে ঝুলন্ত তার, আবার কিছু জায়গায় সুয়ারেজ লাইন, কখনো ওয়াসার পানির লাইন সংস্কারে চলছে এই খোঁড়াখুঁড়ি। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সড়কে সমন্বয়হীন খোঁড়াখুঁড়ির ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। পুরো বছরজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে রাজধানীর রাস্তা। ধুলাবালি ও কাদার যন্ত্রণা তো আছেই। রাস্তা কাটাকাটির সঠিক সময় বছরের মার্চ থেকে জুন। কোথাও ভেঙে পড়েছে, কোথাও গর্ত হয়েছে- রাস্তার এমন অংশ চোখে পড়েছে রাজধানীর বিভিন্ন ব্যস্ত শহরজুড়ে।

নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, উন্নয়ন প্রকল্প, খোঁড়াখুঁড়ি ও জনভোগান্তি রোধে সড়ক খনন নীতিমালা থাকলেও সেটি উপেক্ষিত। ফলে নগরে জনভোগান্তি কিছুতেই কমছে না। এই দুর্ভোগ লাঘবে এলাকাভিত্তিক কমিউনিটি গ্রুপের সঙ্গে সেবা সংস্থার আলোচনা ও করণীয় নির্ধারণ, সড়ক খনন নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ, নীতিমালা অনুযায়ী ‘ওয়ান স্টপ’ সমন্বয় সেল এবং সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চলভিত্তিক কয়েকটি ‘মনিটরিং সেল’ কার্যকর করার পরামর্শ তাদের।

মিরপুর ১০ হয়ে তেঁজগাও, ফার্মগেট থেকে বাংলামোটর মোড়- এসব রাস্তায় যাতায়াতকারী প্রতিটি মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। খোঁড়াখুঁড়ির ফলে রাস্তাগুলোর চারভাগের দুই ভাগই বন্ধ হয়ে আছে। ভাঙা রাস্তায় খোঁড়খুঁড়ির চাপে সামান্য জায়গা দিয়ে রিকশা, ভ্যান, সিএনজি ও প্রাইভেটকার পার হতে থাকে সমান তালে। ফলে ৫ মিনিটের রাস্তা পারাপার হতে সময় লাগছে ৪০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা। কারণ, রাস্তার মাঝখানে কাটা হয়েছে। বিপরীত দিক থেকে একটি প্রাইভেটকারও যদি আসে, তাহলে পুরো রাস্তায় যানবাহন আটকা পড়ে থাকছে। এমনকি পেছন থেকে কোনো গাড়ি সজোরে এলে, ধাক্কা খেয়ে রিকশা উল্টে পড়ার মতো অবস্থা। ক্ষোভ প্রকাশ করে মিরপুরের বাসিন্দার আব্দুর রাজ্জাকের প্রশ্ন- রাস্তার কাজ করার কথা শীত ও বসন্তের মাঝামাঝি সময়ে। কিন্তু এরা মূলত গ্রীষ্ম থেকে বর্ষা পর্যন্ত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে। মাঝেমাঝে দেখি বছরজুড়ে ঢাকার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে। কিন্তু কেন? এসব দেখার কি কেউ নেই?

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, মূল সড়ক, অলিগলিসহ প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার সড়ক রয়েছে রাজধানীতে। এর মধ্যে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থাই খারাপ। বিভিন্ন সময় এসব সড়কে উন্নয়নের কাজ করছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এছাড়া মেট্রোরেল, এলিভেটর এক্সপ্রেওয়ে, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, ওয়াসার লাইন, ডিপিডিসি, বিটিআরসি, ডেসকো, তিতাসসহ সেবা সংস্থার কাজ বছর জুড়ে লেগেই আছে। সমন্বয়হীনতার অভাবে রাজধানীর একই সড়কে বারবার খোঁড়াখুঁড়ির কাজ ফুরায় না।

খোঁড়াখুঁড়িতে নীতিমালা মানার বালাই নেই : ঢাকা শহরে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও জনদুর্ভোগ লাঘবে দুই বছর আগে ‘সড়ক খনন নীতিমালা’ প্রণয়ন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ওই নীতিমালায় বলা হয়, বর্ষা মৌসুম হওয়ায় মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত খোঁড়াখুঁড়ি পরিহার করতে হবে। তবে এ নীতিমালার তোয়াক্কা করছে না ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। বর্তমানে দুই সিটির অধীনে অন্তত অর্ধশত সড়কে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। কখনো ড্রেন নির্মাণ, কখনো বা ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন কিংবা বৈদ্যুতিক তার স্থাপনে চলে রাস্তা খোঁড়ার প্রতিযোগিতা। এক সংস্থা ক্ষতবিক্ষত করার পরদিনই হয়তো অন্য কোনো সংস্থা এসে সেখানেই খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেন। জনদুর্ভোগ কিংবা পরিবেশ দূষণ নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথাই নেই। খোদ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাই বেপরোয়া এই খোঁড়াখুঁড়ির পক্ষে সাফাই গাইছেন। বলছেন, ঢাকা অপরিকল্পিত শহর; তাই রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে জনভোগান্তি থাকা সত্ত্বেও অনুমোদন দিতে হচ্ছে। পরিকল্পিত নগরী হয়ে ওঠলে তখন নীতিমালা মানা যেতে পারে।

জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম ভোরের কাগজকে বলেন, অপরিকল্পিত নগরীকে পরিকল্পিত করতে কিছু কাজের অনুমোদন দিতেই হয়। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে জনভোগান্তি থাকা সত্ত্বেও এসব কাজের অনুমোদন দিতে হচ্ছে। তবে আমরা নতুন করে যেসব কাজ হাতে নিয়েছি তা পরিকল্পনা অনুযায়ীই করা হচ্ছে। জনভোগান্তি দূর করতে সড়ক খনন নীতিমালা মাথায় রেখেই কাজ করা হচ্ছে। তবে সত্যি কথা বলতে কি অপরিকল্পিত নগরীতে নীতিমালা মানা বেশ কঠিন।

সম্প্রতি সড়কসহ উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্রে্শ‌নের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ঢাকাকে পুঁজি করে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়হীন ও অপরিকল্পিত উন্নয়ন কার্যক্রমের কারণে ঢাকাবাসীর দুর্ভোগ দিনে দিনে বাড়ছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, তাদের পরিকল্পনা প্রণয়নের আগেই যেন আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করেন। মহাপরিকল্পনার আওতায় আমাদের কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বয় করেই যেন তারা প্রকল্প নেন।

সরকারি বিধান অনুযায়ী, দেশে মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাস রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মাটি নরম থাকার অজুহাতে এই সময়টাই রাস্তা খননের মাত্রা বেড়ে যায়। ঢাকা মহানগরীর সড়ক খনন নীতিমালা-২০১৯ অনুযায়ী, দিনে খনন কাজ বন্ধসহ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করলে জরিমানার বিধান রাখা হলেও এর কোনো প্রয়োগ নেই। এছাড়াও বর্ষা মৌসুমে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে মূল ক্ষতিপূরণসহ অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ ফি জমা দেয়াসহ খননের মাটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ না হলে জামানতের ফি দ্বিগুণ করার বাধ্যবাধকতাও মানা হয় না। বিশেষ করে বছর জুড়েই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে রাস্তা খননে ঢাকা ওয়াসা, তিতাস গ্যাস, ডিপিডিসি, ডেসকো ও বিটিসিএলের মধ্যে প্রতিযোগিতা লেগেই থাকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নগর বিশেষজ্ঞ মাকসুদুর রহমান বলেন, নগরে খননকাজে কোনো শিডিউল পরিকল্পনা না থাকায় সমন্বয়ও নেই। যদি এক খননেই ওয়াসা, ডেসকো, তিতাস- সবাই তাদের কাজ শেষ করে নিত তাহলে সমস্যা হতো না। কিন্তু একজন এসে রাস্তা খোঁড়ে, সংস্কার করে যায়, আরেকজন এসে আবার খোঁড়ে। এভাবেই বছরজুড়ে চলে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। ব্যবস্থাপনা না থাকায় নগরে দূষণ বেড়ে স্বাস্থ্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

তিন মাসের কাজ বারোমাস জুড়ে : রাজধানীর মিরপুর, দারুস সালাম, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া ও কল্যাণপুর, খিলগাঁও, রামপুরা,বাড্ড, উত্তরা, গুলিস্তান, লালবাগসহ বেশ কিছু এলাকা পানি-সুয়ারেজ, বিদুৎ, গ্যাস, রাস্তনির্মাণ ও সংস্কার, মোট্রোরেল, টেলিফোনসহ সব সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানই বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা খুঁড়ছে। এসব জায়গায় শুধু মেট্রোরেল এলাকায় রাতে কাজ করতে দেখা গেলেও বেশির ভাগ স্থানে ঠিকাদাররা সন্ধ্যার পর কাজ বন্ধ রাখেন। যদিও দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই কাজ করার কথা। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে ‘আমরা করছি না’ বলে একে অপরকে দোষারোপ করেন।

ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির প্রকৌশলীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন, জুনের মধ্যেই সব সেবা সংস্থাকে তাদের চলমান কাজ অবশ্যই শেষ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা তা করতে পারেনি। তাদের অভিযোগ, খোঁড়াখুঁড়ির দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে ঢাকা ওয়াসা। পানি সরবরাহের পাইপলাইন বসানো ছাড়াও ড্রেনেজ ও সুয়ারেজ লাইন বসানোর জন্য তাদের খুঁড়তে হয়।

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, এখন আমরা (ওয়াসা) কোনো রাস্তা কাটছি না। আর এখন আমরা প্রায় ৭৫ ভাগ এলাকায় মাটি গর্ত করে বা রাস্তাখুঁড়ে পাইপ বসাই না। তবে ক্ষেত্র বিশেষে ২৫ ভাগ জায়গায় মাটি কেটে কাজ করা হয়। সর্বশেষ বড় খোঁড়াখুঁড়ির কাজ হয়েছিল গুলশান ও বনানী এলাকায়। নিছকই ওয়াসার ওপর দায় চাপিয়ে লাভ নেই।

দুই সিটির কর্মকর্তারা বলছেন, নীতিমালা অনুযায়ী সেবা সংস্থাগুলোর সড়ক খননে সিটি করপোরেশনের কাছে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা দেয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে তেমন সাড়া পাওয়া যায় না। তারা নিজেদের মতো করে বছরের বিভিন্ন সময় সড়ক খননের অনুমতি চাইছে। জানতেই চাইলে উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী সেলিম রেজা বলেন, রাস্তার কাজ হলো উন্নয়নের রুটিন ওয়ার্ক, এগুলো বন্ধ রাখা যায় না। তবে খোঁড়াখুঁড়ির কাজের অনুমতি যাচাই-বাছাই করে আমরা জরুরি ভিত্তিতে অনুমতি দেই। কিছু গাইডলাইনও দিয়ে দেই। সেই অনুযায়ী কাজের ব্যত্যয় হচ্ছে- এমন অভিযোগ পেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেই। তিনি বলেন, আমরা ওয়ান স্টেপ সেলের মাধ্যমে এসব কাজ সমন্বয় করার চেষ্টা করছি। প্রকল্পের কাজগুলো অনেক বড় হওয়ায় সময় মতো শেষ হয় না এবং সিস্টেমের মধ্যে রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

সাধারণ নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, নগরজুড়েই খোঁড়াখুঁড়ি করে উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে। উন্নয়নের স্বার্থে এসব কাজ করা অবশ্যই জরুরি। কিন্তু খোঁড়াখুঁড়ির এসব কাজের জন্য সেবা সংস্থাগুলোর একে অপরের মধ্যে অবশ্যই সমন্বয় থাকতে হবে। বিভিন্ন কাজের জন্য এক রাস্তা যেন বারবার খোঁড়া না হয়। এতে এলাকাবাসী, পথচারী, সাধারণ মানুষের যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয়, তেমনি বারবার খোঁড়াখুঁড়িতে আর্থিক অপচয় হয়। তাই জনগণের চলাচল নির্বিঘœ করতে সেবা সংস্থাগুলো জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেবে আশা করছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App