×

অর্থনীতি

প্রতারণার লাগাম টানতে হবে: ভোক্তা অধিদপ্তর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:৪৪ পিএম

প্রতারণার লাগাম টানতে হবে: ভোক্তা অধিদপ্তর

মঙ্গলবার রাজধানীর কাওরান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ভোক্তা-সুপার সপ ব্যবসায়ী পর্যায়ে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শফিকুজ্জামান। ছবি: ভোরের কাগজ

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শফিকুজ্জামান বলেছেন, ৬৮ টাকার চাল সুপার প্রিমিয়াম নামে বিভিন্ন সুপার সপে ৮২ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। ভোক্তারা প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতারিত হচ্ছে। অভিযানে গেলেই তা ধরা পড়ছে। এভাবে প্রতারণা চলতে পারে না। লাগাম টেনে ধরতে হবে। কেউ ছাড় পাবে না।

রাজধানীর কাওরান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ভোক্তা-সুপার সপ ব্যবসায়ী পর্যায়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ভোক্তার ডিজি বলেন, ডিম, পোল্ট্রিতেও ভোক্তার পকেট থেকে ৫০০ কোটি টাকা চলে গেছে। অভিযানে যাওয়ার পর তা ধরা পড়েছে। সুপার সবগুলো এমআরপির নামে লাভ বেশি করছে। তবে কেউ কোনো দায় নিচ্ছে না। বিক্রেতারা বলছেন, আমরা দায়ী না। উৎপাদকরা যেহেতু দাম নির্ধারণ করে।

ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারে এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, বাইরে যে চাল ৬৮ টাকা বিভিন্ন সুপার সপ ৮২ টাকা কেজি বিক্রি করছে। এখানে ব্লেম গেম খেলা হচ্ছে। কেউ কোন দায় নিতে চাচ্ছে না। ভোক্তারা সচেতন হচ্ছে। বিধায় অভিযোগ বাড়ছে। এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণা জানা যাচ্ছে। ইউনিলিভার কোম্পানি বেশি মূল্যে প্রায় পণ্য বিক্রি শুরু করছে। এটা দেখার কেউ নাই। কিন্তু আমি একজন ভোক্তা হিসাবে এটা দেখা শুরু করেছি। গভীরভাবে দেখা হবে। এভাবে বেশি দাম বাড়াচ্ছে তা যৌক্তিক কিনা খতিয়ে দেখা হবে। অপরদিকে, সিঙ্গার কোম্পানি বিজ্ঞাপন প্রচার করছে শতভাগ নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। এ ব্যাপারেও বাজার অভিযান শুরু হয়েছে, এটা ভয়াবহ অবস্থা, তা দেখা হচ্ছে। দেশে কত রকমের যে প্রতারণা হচ্ছে তা অভিযানে গেলেই ধরা পড়ছে। ভোক্তাদের স্বার্থেই তা দেখা হচ্ছে।

ভোক্তার ডিজি আরও বলেন, সুপার শপগুলো স্বাধীন দেশে যে যার মতো দাম নিচ্ছে। এর লাগাম টেনে ধরতে হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ডিক্লেয়ার করেছে মিনিকেট নামে কোন চাল নাই, তা বাজেয়াপ্ত করতে হবে। মোটা চালকে ছাটাই করে চকচকে করা হয়। এ ব্যাপারে ভোক্তাদেরও সচেতন হবে। তাহলে এটা বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা বাজার থেকে মিনিকেট শব্দটা উঠিয়ে দিতে চাই। একই চাল ভিন্ন দামে বিভিন্ন সুপারসপে বিক্রি করা হচ্ছে, এটাও খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ভোক্তার পকেট যাতে কাটা না হয় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইউনিলিভার যেভাবে দাম নিচ্ছে কেউ কি কখনো খতিয়ে দেখেছে, তা করা হয়নি বলেই তারা ইচ্ছামতো দাম নিচ্ছে ভোক্তাদের কাছ থেকে। প্রতারণা করে কেউ ছাড় পাবে না ভোক্তা আইন আছে। সেই আইনের আলোকে বিচার হচ্ছে। সোনারগাঁ জুয়েলাস, সেন্টমার্টিন পরিবহন, লাজ ফার্মার লিমিটেডসহ অনেক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। কেউ প্রতারিত হলে ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করলে তার প্রতিকার পাওয়া যাবে এটা নিশ্চিত।

ক্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত আসতে কত শতাংশ মার্জিন যুক্ত হচ্ছে তা দেখতে হবে। চালের উৎপাদক হচ্ছে ১৭টি প্রতিষ্ঠান এর নাম পেয়েছি আটটির মিলার আছে আর বাকিগুলো নিজেরাই প্যাকেজিং করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App