×

শিক্ষা

জবিতে চার পয়েন্টে বসছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৫৪ পিএম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আধুনিক ব্যবস্থায় হাজিরা নিতে চারটি পয়েন্ট (স্থান) নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, ভাষাশহীদ রফিক ভবন ও কলা ভবনে এ ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিন লাগানো হবে।

মঙ্গলবার ( ৬ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি ভোরের কাগজকে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য্য।

তিনি বলেন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিন লাগানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি পয়েন্ট (স্থান) নির্ধারণ করে প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রশাসনিক ভবনে, নতুন একাডেমিক ভবনে, কলা ভবনে ও ভাষাশহীদ রফিক ভবনে দুটি করে মেশিন থাকবে। রফিক ভবনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিনে বিজ্ঞান ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও হাজিরা দিবে। যেন কোনো ভিড় না হয় তারজন্য প্রতিস্থানে দুটি করে মেশিন লাগানো হবে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জবিতে দেরিতে ঘুম ভাঙে কর্মকর্তাদের! শিরোনামে ভোরের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাজিরা ফিঙ্গারপ্রিন্টে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ৩০ আগস্ট এক নোটিশের মাধ্যমে সাত দিনের মধ্যে সকল বিভাগ, দপ্তর ও ইনস্টিটিউটে ডিজিটাল হাজিরার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিন লাগানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেলকে নির্দেশ দেয়া হয়।

এরআগে, গত ২৮ আগস্ট ভোরের কাগজ সংবাদে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিসে যোগদানের সময় সকাল আটটা। তবে কেউ সাড়ে নয়টায়, কেউ ১০ টায়, কেউ ১১ টায়, কেউবা তার পরেও আসেন। ঘুম ভাঙতে ভাঙতেই অফিসের সময় দুই-চার ঘন্টা চলে যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের। দপ্তরে যার ক্ষমতা যতো বেশি, তার ঘুম ভাঙতে ততো বেশি সময় লাগে। এ তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার থেকে শুরু করে দপ্তর প্রধানরা পর্যন্ত রয়েছেন। অফিসে যোগদানের হাজিরায় আধুনিক সিস্টেম (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) না থাকায় কে কখন আসেন বা যান তার কোন সঠিক হিসাব থাকে না।

এছাড়া অনেকে চলে যান নির্ধারিত সময়ের (বিকাল ৪ টা) আগেই। এতে বিভিন্ন দপ্তরে ফাইল জমা হয়ে যাওয়ায় কাজের এক ধরণের আমলাতান্ত্রিকতা দেখা যায়। নানা কাজে হয়রানি হয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেমন ক্ষোভ দেখা যায়, তেমনই যারা সঠিক সময়ে অফিসে আসেন তারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাই সকলের নির্ধারিত সময়ে হাজিরা নিশ্চিতে ফিঙ্গার প্রিন্ট লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App