×

জাতীয়

অতিরিক্ত দামে চাল-গম কেনার ব্যাখ্যা দিয়েছে সরকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:২৩ পিএম

অতিরিক্ত দামে চাল-গম কেনার ব্যাখ্যা দিয়েছে সরকার

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ফাইল ছবি

বিদেশ থেকে অতিরিক্ত দামে চাল ও গম কেনার ব্যাখ্যা দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ প্রসঙ্গে কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দরকষাকষির সময়ই দাম বেশি ছিল। এর পরও আমরা প্রাক্কলিত দরের চেয়ে সাত ডলার কমে রাশিয়ার কাছ থেকে গম কিনেছি। এ সময় খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেনও মন্ত্রীর সঙ্গে বেশি দামে কেনার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার, মিয়ানমার থেকে ২ লাখ ও ভারত থেকে ১ লাখ টন চাল কেনা হচ্ছে। ভিয়েতনামের সেদ্ধ চাল প্রতি টন ৫২১ ডলার, আতপ ৪৯৪ এবং ভারতের ৪৪৩ দশমিক ৫ ডলার পড়বে। আর রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন গম কেনা হচ্ছে, দর পড়বে ৪৩০ ডলার।

এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চান, রাশিয়ার কাছ থেকে গম আমদানির সিদ্ধান্তের সময় ২৪ আগস্ট আন্তর্জাতিক বাজারে দাম ছিল প্রতি টন ৩২৪ ডলারের কাছাকাছি। অন্যান্য খরচ মিলিয়ে আনুমানিক ব্যয় দাঁড়ায় প্রতি টন ৩৮০ ডলারের মতো। সেখানে সরকার ৫ লাখ টন গম কিনছে টনপ্রতি ৪৩০ ডলার দরে। একইভাবে ভিয়েতনাম থেকে যে চাল প্রতি টন ৫২১ ডলার দরে কেনা হচ্ছে, তা ভারত থেকে কিনলে কম দাম হতো। ভিয়েতনাম থাইল্যান্ডের মাধ্যমে চাল দেওয়ায় প্রতি টনে ৫০ থেকে ৬০ ডলার বেশি দিতে হচ্ছে। সরকারের ক্ষতি হচ্ছে। এর জবাব কী?

উত্তরে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চাল-গমের দাম ওঠানামা করে। বাংলাদেশ কেনার জন্য যখন দরকষাকষি করে, তখন দাম বেশি ছিল। আর থাইল্যান্ড থেকে সরাসরি চাল কেনার জন্য একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা এতদিনে সাড়া দিয়েছে যে কী নমুনা, কী দাম, কীভাবে নেবেন, জাহাজ কোথায় ইত্যাদি। আগে এক সময় থাইল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি করার পরও তারা চাল দেয়নি বলে একটি মতবিরোধ আছে। তার পরও তারা এগিয়ে এসেছে। সরকারও চাল নিতে প্রস্তুত রয়েছে।

এ সময় খাদ্য সচিব বলেন, থাইল্যান্ড আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, প্রথমে দরদাম হবে, তারপর পাঁচ থেকে ছয় মাস পর চাল দিতে পারবে। কিন্তু সরকারের লক্ষ্য হলো অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর। আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রাক্কলিত দরের চেয়ে সাত ডলার কমে কেনা হচ্ছে। তাঁর কথার সঙ্গে খাদ্য সচিব যুক্ত করেন, তাঁরা যখন আলাপ-আলোচনায় বসেছিলেন ২৪ আগস্ট, সেদিন রাশিয়ার গমের দাম ছিল প্রতি টন ৩৩০-৩৩৭ ডলার। এখানে সরকার ৪৩০ ডলারে চুক্তি করেছে সব নিয়মকানুন মেনে। সরকার এতে লাভবান হয়েছে। জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এটির প্রয়োজন ছিল।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ১৯ লাখ ৬৪ হাজার টনের বেশি খাদ্যশস্য (চাল ও গম) মজুত আছে। আর কৃষিক্ষেত্রে খরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে পর্যাপ্ত চাল ও গম আমদানি করা হচ্ছে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত ১০ লাখ ৩০ হাজার টন চাল ও গম আমদানি করা হয়েছে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রি অব্যাহত থাকবে। ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কারণে চালের বাজার নিম্নমুখী রয়েছে। খাদ্যশস্যের দাম নিয়ে প্রতিবেদন করার ক্ষেত্রে খুচরা, পাইকারি ও মিলগেটের দাম যাছাই করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App